লোকসভায় মিঠুনকে 'গুরুদায়িত্ব' BJP-র, ১৪ এপ্রিল থেকে 'নয়া ভূমিকা'-য় সুপারস্টার
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
পদ্ম শিবিরের 'টার্গেট' বাঁধা! এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩০টির বেশি আসনকে টার্গেট করেছে BJP। পালটা হুংকার তৃণমূলের। সবকটি আসনকেই পাখির চোখ করেছে রাজ্যের শাসক দল। এদিকে বাংলায় এসে প্রচার চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ। কিন্তু, 'বং কানেকশন'-এর চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে BJP-কে এখনও 'স্টার মার্কস'-এ পাশ করাতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল।এই ভোটের বাজারে এবার গেরুয়া শিবির 'বড় দায়িত্ব' দিতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে টানা তিন দিন তিনি উত্তরবঙ্গ সফর করতে চলেছেন। বঙ্গে ১৯ এপ্রিল ভোট আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে। জানা গিয়েছে, এই তিন কেন্দ্রের BJP প্রার্থীদের হয়ে রোড শো এবং সভা করতে চলেছেন তিনি। পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠকও করতে পারেন তিনি, সম্ভাবনা এমনটাই।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বাংলায় একাধিক বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। সেই সময় বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের। বলা যেতে পারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে BJP-র অন্যতম চমক ছিলেন তিনি। ফের একবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রচার ময়দানে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম শিবির। BJP সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই প্রথম দফা নির্বাচনের আগে প্রচারে অংশ নিতে চলেছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, মুম্বইয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন মহাগুরু। কিন্তু, তাঁর বাংলায় হিট ছবির সংখ্যাও অতি দীর্ঘ। পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা এবং বাঙালির আবেগ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির, মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের প্রচারে BJP প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, মনোজ টিগ্গা, জয়ন্ত রায়ের হয়ে প্রচারে তিনি রাজনৈতিক প্রচার করবেন। মিঠুন চক্রবর্তী একুশের নির্বাচনে একাধিকবার প্রচারে নেমে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলকে। প্রাথমিকভাবে জল্পনা করা হচ্ছিল, তিনি ভোটে লড়বেন। কিন্তু, বিধানসভায় প্রার্থী হননি তিনি।
এরপর লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত বাংলায় ৪১ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাতে নাম ছিল না মিঠুন চক্রবর্তীর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তাঁকে আপাতত স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবেই ব্যবহার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।