• D Y Chandrachud: ঝরেঝরে বাংলায় বাঙালি বিচারপতির ভূয়সী প্রশংসা, চর্চায় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়
    এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • স্পষ্টবক্তা হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি তালিকায় ২০২৪ সালের ১০০ জন মোস্ট পাওয়ারফুল ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষ দশে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এবার সেই প্রধান বিচারপতির কণ্ঠেই উঠে এল বাঙালির প্রশংসা। প্রধান বিচারপতির মুখে বাংলা ভাষা শুনে, বাঙালির প্রশংসা শুনে আপ্লুত আমমর বাঙালি। হঠাৎ কেন বাংলা বললেন CJI?১০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু তাঁর পদ থেকে অবসর নেন। সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি তাঁর বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে। সেই সময় অনিরুদ্ধে বসুর ঢালাও প্রশংসা করেন চন্দ্রচূড়। বিচারপতি বসুকে ' প্রকৃত ভদ্রলোক' বলে সম্বোধন করে তিনি।

    CJI বলেন, 'আমরা বিচারপিত বসুকে মিস করব। উনি একজন প্রকৃত বাঙালি ভদ্রলোক। আমরা ওঁর সংস্পর্শে থেকে কাজ করতে পেরেছি এটা অত্যন্ত সম্মানের। ওঁর জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল। বিচারপতি অনিরুদ্ধ একজন খুব শিক্ষিত, পরিশ্রমী, ন্যায়প্রিয় এবং দয়ালু ব্যক্তি। তিনি এমন একজন বিচারক যিনি দেশের প্রতিটি মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করতে চেয়েছেন সর্বদা।

    আইনের পাশাপাশি বিচারপতি বসুরও আগ্রহ রয়েছে সাহিত্য-সংস্কৃতি, ইতিহাস, কাব্যবিদ্য়ায়। আর তা নিয়েও তাঁর ঢালাও প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, 'বিচারপতি বসু প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বদা স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপিত থাককালীন উনিই প্রথম ভিডিয়ো কনফারেন্সিং ব্যবহার করেছিলেন।' পালটা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। বলেন, 'গত ৬০ বছরে যা শিখেছি তার থেকে অনেক বেশি শিখে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বছরের মেয়াদে।' বিচারপতি বসুর অবদানের কথা তুলে ধরে, ডিওয়াই চন্দ্রচূদ বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মেয়াদকালে, তিনি ডেটা গোপনীয়তা আইন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, পশু অধিকার এবং ইতিবাচক পদক্ষেপের মতো জনস্বার্থের বিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন।'

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু কলকাতার সেন্ট লরেন্স হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৫ সালে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টে সাংবিধানিক, নাগরিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে অনুশীলন শুরু করেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। তারপর ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে তিনি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। এর পরে, ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে পদোন্নতি পান।
  • Link to this news (এই সময়)