গুজরাট সরকারের তরফে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে বৌদ্ধ ধর্মকে পৃথক বিশ্বাস হিসেবে দেখা উচিত। যদি কোনো হিন্দু বৌদ্ধ, জৈন বা শিখ ধর্ম গ্রহণ করতে চায় তাহলে আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হবে। রজ্য সরকার এর পিছনে গুজরাট ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট ২০০৩ এর একটি বিধানের কথা উল্লেখ করেছে।এই বিজ্ঞপ্তিটি গত ৮ এপ্রিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগ জারি করেছিল। সূত্রের খবর, গুজরাট সরকার জানতে পেরেছিল যে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে ইচ্ছুক আবেদনগুলিকে নিয়ম অনুযায়ী সুরহা করা হচ্ছে না। এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র দফতরের উপসচিব বিজয় বাদেকার সাক্ষর করেছেন। প্রসহ্গত উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর গুজরাটে বিপুল সংখ্যক দলিত বৌদ্ধ দর্ণ গ্রহণ করেন। বিশেষ করে দসেরার মতো উৎবের সময় ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানগুলির আয়োজন করা হয়।
গুজরাট সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে জেলা ম্যজিস্ট্রেট অফিস গুজরট ধর্মের স্বাধীনতা আইনের ভুল ব্যাখ্যা করছে। জানা গেছে, হিন্দু ধর্ম থেকে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে ন। অনেক সময় বলা হচ্ছে ধর্মান্তরের জন্য পূর্বানুমতি নিতে হবে না। এই ধরণের বিষয়ে কোনো গাপিলতি করা চলবে না বলে সার্কুলারে জোর দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটকেসঠিকভাবে পড়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী বৌদ্ধ ধর্মকে একটি পৃথক ধর্ম হিসেবে দেখা উচিত। যদি কোনও হিন্দু ব্যক্তি বৌদ্ধ, জৈন বা শিখ ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চান, তাহলে নির্ধারিত ফরম্যাটে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া যে ব্যক্তি ধর্মান্তরিত হচ্ছেন তাকে অবশ্যই এই তথ্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিতে হবে। এছাড়াও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকেওএই ধরণের আবেদনগুলি সাবধানে পড়ে তারপরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাধারণত দেখা গেছে, যে সব ক্ষেত্রে আগে থেকে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি এই ধরণের আবেদনগুলি নিষ্পত্তি করে লে যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫(২)-এর অধীনে শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দু ধর্মের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ফলে আবেদনকারীকে ধর্মান্তরের জন্য অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর আমেদাবাদে প্রায় ৪০০ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সোমনাথে প্রায় ৯০০ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল।