UN Happiness Report: ভারতের থেকে সুখী পাকিস্তান! হাস্যকর রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
প্রকাশিত হল পৃথিবীর সবথেকে সুখী দেশের তালিকা। বুধবার এই তালিকা প্রকাশ করে জাতি সংঘ। এই নিয়ে টানা সাতবারের জন্য তলিকার শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ডের নাম। ফিনল্যান্ডের পরই সব থেকে হাসিখুশি দেশের তালিকায় নাম রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড এবং সুইডেনের। এরপর তালিকায় নাম রয়েছে ইজরায়েল, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যন্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার।২০২৪ সালের তালিকা প্রকাশ হওয়ার প্রায় এক দশক পর সুখী দেশের তালিকা থেকে ছিটকে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি। তালিকার প্রথম কুড়িটি দেশের মধ্যেও জায়গা হয়নি এই দুটি দেশের। তালিকায় ২৩ এবং ২৪ নম্বরে রয়েছে দুটি দেশের নাম। সুখী দেশের প্রথম কুড়িটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে কুয়েত এবং কোস্টা রিকা। তালিকার ১২ এবং ১৩ নম্বরে রয়েছে দেশ দুটি। তবে জাতি সংঘের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশগুলো সুখী দেশের তালিকায় জায়গা করতে পারেনি।
২০২০ সালের পর থেকে তালিবানি শক্তির রমরমার জন্য হওয়া মানবিক বিপর্যয়ে জর্জরিত আফগানিস্তানের নাম ১৪৩ টি দেশের মধ্যে তালিকার সব থেকে নীচের দিকে রয়েছে। তালিকার নীচের দিকে নাম রয়েছে লেবানন এবং জর্ডনেরও।
তালিকার শীর্ষে থাকা দশটি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র নেদারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যাই দেড় কোটি। এছাড়া কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা তিন কোটির বেশি।
তবে পূর্ব ইউরোপের সার্বিয়া, বুলগেরিয়া এবং লাটভিয়ার স্থান তালিকার উপরের দিকে উঠেছে। মানুষের জীবন সন্তষ্টি, মাথা পিছু জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, সুস্থ আয়ু, স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির ভিত্তিতে সুখের তালিকাটিক করা হয়।
তবে এই বছরই প্রথমবারের মত বয়সের ভিত্তিতে দেশের আলাদা তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কম বয়সী মানুষদের মধ্যে লিথয়ানিয়া সবচেয়ে সুখী দেশ। বয়সের ভিত্তির তালিকায় পাকিস্তান ১০৭ নম্বরে, ভারত ১২৭ নম্বরে এবং বাংলাদেশ ১২৮ নম্বরে রয়েছে। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের তলিকার ভিত্তিতে প্রথম স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক।
অন্যদিকে সুখী দেশের তালিকায় ২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সালেও ১২৬ নম্বরে রয়েছে ভারতের নাম। ২০২৩ সালে প্রকশিত তালিকায় পিছিয়ে গেছিল বাংলাদেশ। উল্টে বিশ্বের অসুখী দেশের তালিকার ২০ নম্বর স্থানে ছিল বাংলাদেশ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে কুড়ি বছর বয়সীদের মধ্যে আনন্দের পরমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। সেই তুলনায় বয়স্করা তরুণদের তুলনায় বেশি খুশি। এর উল্টো ছবি দেখা গেছে পূর্ব ইউরোপে। সেখানে সব বয়সের মানুষের মধ্যে সুখের পরিমাণ সমানভাবে বেড়েছে। একই ছবি দেখা গেছে পশ্চিম ইউরোপে। ইউরোপ ছাড়া বাকি দেশে সুখের পরিমাণের তারতম্য ভাবাচ্ছে জাতিসংঘকে।