বিদেশের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে বিনা বেতনে তাড়াচ্ছেন বনের মোষ! চর্চায় পাকিস্তানের নয়া অর্থমন্ত্রী
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
পাকিস্তানের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নতুন কিছু নয়। বেশকিছুদিন থেকেই চরম মুদ্রাস্ফীতির ভারে হাঁসফাঁস অবস্থা পাকিস্তানের। এমন সময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক করার মিশনে নামেন সেদেশের নতুন অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব। যদিও এটি একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ। গত মাসেই অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের অর্থনীতি ইিহাসের সবচেয়ে বড় অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র এশিয়ার মধ্যে পকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি। অথচ বৃদ্দির কোনও চিহ্নই নেই। এটি বিশ্বের সবথেকে কম কর সংগ্রহের দেশগুলির মধ্যে একটি। সচল থাকার জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। একের পর এক ঋণের দায়ে কার্যত ডুবে যাচ্ছে দেশটি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানের নতুন অর্থমন্ত্রী একজন সুপরিচিত ব্যাঙ্কার ছিলেন। তিনি JPMorgan Chase & co- এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আগের অর্থমন্ত্রীদের মতো আওরঙ্গজেবও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বর্তমানে অনেক কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর মধ্যে আছে অস্থিতিশীল দেশীয় রাজনীতি, ভারত, আফগান ও ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উত্তেজনা এবং বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তন। প্রাক্তন সরকারের একজন উপদেষ্টা মোশাররফ জাইদি বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর কাজ হল অর্থনীতি পরিচালনা করা। এটা সহজ শোনায় কিন্তু এটি একটি সবচেয়ে জটিল কাজ।
আপাতত পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর সমনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে জুনের মদ্যে আইএমএফ থেকে ছয় বিলিয়ন ডলারের তিন বছরের বেলআউট প্রোগ্রাম পাওয়া। তিনি জিনিসগুলি তরান্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পছন্দের কথার উল্লেখ করেছেন।
পাকিস্তানের নতুন অর্থমন্ত্রীর পরিচয়-আওরঙ্গজেব লাহোরের একটি সম্মানিয় পরিবার থেকে এশেছিলেন। তঁর বাবা ছিলেন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল। ৫৯ বছর বয়সী আওরঙ্গজেব দেশএর নামকরা আইচিসন কলেজে গিয়েছিলেন। নিউ ইয়র্কের সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড-এ কাজ করার আগে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে ওয়ার্টনে যোগ দেন।
বিদেশের চাকরি ছেড়ে পাকিস্তানে চলে আসেন-বিদেশেরব্যাঙ্কে চাকরির সময় তাঁকে একটি ইউনিটে কাজের সূত্রে পাকিস্তানে ফিরে আতে হয়। পরে অ্যামস্টারডামে ব্যাঙ্কের সদর দফতরে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। ২০১৮ সালে তিনি পাকিস্তানের বৃহ্তম হাবিব ব্যাঙ্কের সিইও হিসাবে দায়িত্ব নিতে সিঙ্গাপুর জেপি মরগান ছেড়ে যান। এই জন্য তিনি আবার দেশে ফিরতে রাজি হন। এরপর হাবিব ব্যঙ্ককে ২২৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়। তাকে তার আমেরিকান কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়েছিল।