আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিবান। সেখানে বসবাসকারী হিন্দু এবং শিখদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জমি এবং সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে বলে ভারত সরকারকে আশ্বাস দিয়েছে তলিবান প্রশাসন। যে জমি অন্যায়ভাবে তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তইনয়, কিছু হিন্দু এবং শিখ পরিবারকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে তালিবান সরকার। এমনকি এই সব কাজ তদারকি করার জন্য গঠন করা হয়েছে কমিশনও।তালবানর রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সুহেল শাহীন মিডিয়াকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। কাবুলে তালিবানের বিচার মন্ত্রণালয় হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের বাস্তুচ্যুত সদস্যদের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। সুহেল জানিয়েছেন, বিত শাসন আমলে দখলকৃত সম্পত্তি মালিকদের কাছ থেকে ফেরত দিতে বিচারমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকরীহিন্দু এবং শিখ পরিবারের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি আফগান সংসদের প্রাক্তন সদস্য নরেন্দ্র সিং খালসা কানাডা থেকে আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সলের অগা্স্টে তালিবনিদের দখলের সাথে সাথে দেশটির সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এরপর অনেক সংখ্যালঘু অন্য দেশে আশ্রয় নেয়।
সূত্রের খবর, একজন তালিবনি কর্মকর্তা বলেছেন যে এই উদ্যোগটি দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি অবিচারের প্রতিকারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তালিবানের এই সিদ্ধন্তকে ভারতের প্রতি তাদের ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন ভারতয় কর্মকর্তারা।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী কাবুলের নয়া শাসকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী সরকার আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর তালিবান প্রশাসনের এই ঘোষণাকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
তালিবানির ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে, হিন্দস্থানের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে তালিবানিরা। যদিও মাস কয়েক আগে নয়াদিল্লির আফগান দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কাবুল প্রশাসন। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় তারা। তবে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আফগান রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে দেয় কাবুলের বর্তমান শাসকেরা।
কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের বিগত আমেরিকা সমর্তিত সরকারের সময়ে ভারতীয়দের উপর হমলর ঘটনাগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তালিবান প্রশাসন।