• Fact Check: 'চ্যালেঞ্জ ভোটের' দাবিতে নেট মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বার্তা, জানুন সত্যিটা
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু লোকসভা ভোট। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হচ্ছে নির্বাচন সম্পর্কিত একাধিক পোস্ট। যার মধ্যে একাধিক পোস্ট অসত্য কিংবা বিভ্রান্তিকর। না জেনে অনেক সময় সেই সব পোস্ট বিশ্বাস করছেন নেটিজেনরা। সেই রকমই এক পোস্ট সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 'চ্যালেঞ্জ ভোট' ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার সম্পর্কে একটি ভাইরাল বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।কী দাবি করা হয়েছে ওই পোস্টে?

    যদি আপনি পোলিং বুথে পৌঁছে জানতে পারেন আপনার নাম ভোটার তালিকায় নেই এবং আপনার ভোটদানে অসুবিধা হচ্ছে তবে আপনার আধার অথবা ভোটার কার্ড দেখান এবং ৪৯A-এর অধীনে বলুন 'চ্য়ালেঞ্জ ভোট' দিতে চান।

    আপনি যদি লক্ষ্য করে আপনার আগে কেউ আপনার ভোট দিয়ে দিয়েছেন তবে 'টেন্ডার ভোট'-এর আবেদন করতে পারেন।

    যদি কোন ভোটকেন্দ্রে ১৪ শতাংশ-এর বেশি টেন্ডার ভোট রেকর্ড করা হয়, তাহলে সেই পোলিং বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

    দেখুন বিভ্রান্তিকর সেই ভাইরাল পোস্ট

    দেখুন ভাইরাল পোস্টের স্ক্রিনশট

    দেখুন ভাইরাল পোস্ট

    দেখুন ভাইরাল পোস্ট

    অনুসন্ধান

    ফ্যাক্ট চেকে উঠে এল যে দাবিগুলো এই পোস্টটিতে করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর।

    পোস্টটির প্রথমে দাবি করা হয়েছে, 'আপনার যদি ভোটার তালিকায় নাম না থাকে তবে শুধুমাত্র আধার বা ভোটার কার্ড দেখিয়ে ৪৯এ ধারার অধীনে চ্যালেঞ্জ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভোট দিতে পারেন।> তবে নির্বাচন কমিশনের এরকম কোনও নিয়ম নেই। ভোটার তালিকায় কোনও ব্য়ক্তির নাম না থাকলে তাঁরা ভোট দিতে পারেন না।

    > ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) নাগরিকদের ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করে যখন তাদের নাম সফলভাবে তাদের নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একজনের ভোটার আইডি কার্ড থাকার অর্থ এই নয় যে তারা অবশ্যই ভোট দিতে পারবেন – কারণ ভোট দেওয়ার জন্য তাদের ভোটার তালিকায় তাদের নাম থাকা বাধ্যতামূলক।

    > পোস্টটিতে চ্য়ালেঞ্জ ভোট নামে যা উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৪৯এ ধারাকে মিথ্য়া ভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

    > চ্যালেঞ্জ ভোট আসলে কী তার প্রকৃত ব্যাখ্যা রয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারদের জন্য হ্যান্ডবুকে। 'চ্যালেঞ্জড ভোট' হল যেখানে পোলিং এজেন্টরা একজন নির্বাচকের পরিচয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ও প্রিসাইডিং অফিসার সেই বিষয় তদন্ত করেন।

    দ্বিতীয় বিবৃতিটি সত্য: ভাইরাল বার্তার দ্বিতীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে আপনি যদি দেখেন যে কেউ ইতিমধ্যে আপনার ভোট দিয়েছেন, তাহলে আপনি 'টেন্ডার ভোট' চাইতে পারেন এবং আপনার ভোট দিতে পারেন।> পোস্টের এই দাবি সত্য। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ১৯৬১-এর বিধি ৪২ অনুসারে, পোলিং অফিসার যদি একজন ব্যক্তিকে বলেন যে তাদের ভোট ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে, তাহলে একজনকে অবিলম্বে প্রিজাইডিং অফিসারের নজরে আনতে হবে।এই ধরনের ক্ষেত্রে, প্রিসাইডিং অফিসার একজনের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যদি একবার তিনি নিশ্চিত হন তাঁর পরিচয় আসল তবে তাঁকে তিনি একটি টেন্ডারযুক্ত ব্যালট পেপার দেন ও তখন তিনি টেন্ডারড ভোট দিতে পারেন।

    > একটি টেন্ডার করা ব্যালট পেপার হল ব্যালটিং ইউনিটে প্রদর্শিত ব্যালট পেপারের মতই। পিছনে টেন্ডার্ড ব্যালট পেপারের ছাপ থাকে।

    পোস্টটির শেষে বলা হয়েছে, যদি কোনো পোলিং বুথে ১৪% এর বেশি টেন্ডার ভোট রেকর্ড করা হয়, তাহলে সেই পোলিং বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে।'

    > এই বক্তব্যও মিথ্যা। টেন্ডার করা ভোটগুলি শুধুমাত্র হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। আদালত বলেছে, 'টেন্ডার করা ভোট শুধুমাত্র তখনই বিবেচনায় নেওয়া উচিত যখন তারা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে, অর্থাৎ, যখন বিজয়ের ব্যবধান টেন্ডার করা ভোটের সংখ্যার চেয়ে কম হয়।

    সিদ্ধান্ত

    নির্বাচনের আগে 'চ্যালেঞ্জ ভোট' সম্পর্কে একটি বিভ্রান্তিকর দাবি ভাইরাল হচ্ছে।

    (This story was originally published by The quint. and republished by Ei Samay Digital as part of the Shakti Collective)
  • Link to this news (এই সময়)