লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বেড়েছে, আনন্দে ধনদেবীর আরাধনা, উপস্থিত মন্ত্রীও
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকার মহিলাদের মন জয় করতে পেরেছে বলেই মন রাজনৈতিকমহলের একাংশ। কেউ কেউ তো মনে করেন, লোকসভা ভোটের লড়াইতে তৃণমূলকে অনেকটাই মাইলেজ দিচ্ছে রাজ্য সরকারের এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। কার্যত গোটা রাজ্যজুড়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী হাতিয়ারগুলির মধ্যে অন্যতম এই প্রকল্প। বিরোধীরা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও সেটা তাদের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। সম্প্রতি রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকার অংক বৃদ্ধি করেছে। এতদিন যাঁরা ৫০০ পেতেন, তাঁরা চলতি এপ্রিল মাস থেকে পেতে শুরু করেছেন ১০০০ টাকা। আর যাঁরা ১০০০ টাকা পেতেন তাঁরা পেতে শুরু করেছেন ১২০০ টাকা।আর এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে চলতি নির্বাচনী ময়দানে বিরাট জায়গা দখল কর তা টের পাওয়া গেল পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার এমনিতেই লক্ষ্মীবার। এদিন বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর রীতি রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কথা দিয়ে কথা রাখায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং একইসঙ্গে বাড়তি লক্ষ্মী লাভের আনন্দে এদিন শ্রীরামপুর অঞ্চলের প্রায় ১৭টি জায়গায় মহিলারা রীতিমত ধুমধাম করে আয়োজন করলেন লক্ষ্মীপুজো। আয়োজক মহিলারা জানান, লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার জন্য আজ লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছেন তাঁরা। ওই মহিলাদের প্রার্থনা ধনধান্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেন সারাবছরই পরিপূর্ণ থাকে।
এদিন এই লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষ্যে শ্রীরামপুর এলাকায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়ের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, 'বিজেপির কুৎসা অপপ্রচার ও বঞ্চনা সত্ত্বেও জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যে কথা দিয়ে কথা রাখেন, তা তিনি প্রমাণ করেছেন। বাংলার প্রতি বঞ্চনা সত্ত্বেও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প তিনি শুধু চালিয়েই যাচ্ছেন তা নয়, টাকা বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন তাও করে দেখিছেন। ইতিমধ্যেই বাংলার মা বোনেরা বর্ধিতহারে ১ হাজার ও ১২০০ টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন। তাই তো আজ বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দের পরিবেশ,পূজিতা হচ্ছেন লক্ষ্মী দেবী।'
প্রসঙ্গত, এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের হাতে মাসে কিছুটা হলেও অর্থ তুলে দিচ্ছে। এর ফলে গ্রামবাংলা তথা গোটা রাজ্যের মহিলাদের একটা বড় অংশ উপকৃত। এখন দেখার ভোটবাক্সে এর কোনও প্রবাব পড়ে কি না।