• সন্দেশখালি নিয়ে ই-মেইল আইডি চালু CBI-এর, অভিযোগ জানাবেন কোথায়?
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ ও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা, দু’টি ক্ষেত্রেই সিবিআই-কে সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, পাঁচটি মালার পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত করবে সিবিআই। পাশাপাশি, গ্রামীণ বাসিনাদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি ই-মেইল চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পদক্ষেপ শুরু CBI-এর।সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই পদক্ষেপ শুরু করল। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ১০ তারিখ নির্দেশ দেয় সিবিআইকে নতুন ইমেল আইডি তৈরি করতে। যেখানে সন্দেশখালি সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেইমতো সিবিআই একটি মেইল আইডি চালু করেছে। সেটি হল :- sandeshkhali@cbi.gov.in।

    এর ভিত্তিতে সন্দেশখালি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যে কোনও ব্যক্তিরা তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিশেষত, নারীদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ হয়েছে তার অভিযোগ এবং জোরপূর্বক জমি দখলের বিষয়ে যার যা অভিযোগ আছে তারা এখানে জানাতে পারে। সিবিআইকে মেইল করে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সিবিআর আধিকারিকরা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসককে ওই এলাকায় উল্লিখিত ইমেল আইডিটির পর্যাপ্ত প্রচার করার জন্য অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি, স্থানীয় দৈনিকগুলিতে একটি পাবলিক নোটিশ জারি করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিশেষত সন্দেশখালির এলাকার মানুষের কাছে যাতে এই ই-মেইল পৌঁছে যায়, সেটা নিশ্চিতকরণের জন্য বলা হয়েছে।

    Sandeshkhali Sheikh Shahjahan : 'সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভালো হবে' মন্তব্য শাহজাহানের

    হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে।সিবিআইয়ের চালু করা ইমেল আইডির মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। ফলত, এবার থেকে জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন করা সহ সব অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের নজরদারিতে পুরো তদন্ত হবে বলে জানানো হয়।

    এছেরাও আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকায় ১৫ দিনের মধ্যে এলইডি আলো, সিসিটিভি বসাতে হবে বলে নির্দেশ। সেই সিসিটিভি এবং এলইডি আলোর খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। তদন্ত করতে গিয়ে প্রয়োজনে যে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা, সরকারি কর্তৃপক্ষ, পুলিশ কর্তৃপক্ষ, এনজিও-সহ এ বিষয়ে আগ্রহী যে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য এবং মতামত নিতে পারবে সিবিআই। জানানো হয়েছে, মামলার সব পক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে সব অভিযোগ জমা দিতে হবে।
  • Link to this news (এই সময়)