• তৃণমূলের অনুষ্ঠানে হঠাৎ হাজির দিলীপ! জোর চমক বিজেপি প্রার্থীর...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • অরূপ লাহা: বির্তকিত মন্তব্য, আলগা কথা এই নিয়ে দিলীপ ঘোষকে চর্চার শেষ নেই। তবে তিনি দিলীপ ঘোষ। তাই  বির্তক ও চর্চার মাঝে যে চমক থাকবে না তা কি হয়। ঈদের দিন তিনি সেই রকম চমক দিলেন। চমকে দিলেন শাসকদলকেও। তবে কোনও হালকা কথা বলে নয়। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এদিন প্রাতঃভ্রমণের কর্মসূচি শেষ করে তিনি তাঁর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে যাচ্ছিলেন ভোট প্রচারে। যাওয়ার পথেই তিনি ঢুকে পড়লেন তৃণমূলের অনুষ্ঠানে!তালিতের দিঘির পাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠান। বাঘাড় ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়েই ঈদ উপলক্ষে জলসত্রের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তখন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা  বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা উপস্থিত ছিলেন। ভাতাড়ে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে দিলীপ ঘোষ সেই জলসত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন। তারপর মাইক হাতে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। মিনিট পাঁচেক ওখানে থাকেন তিনি। তারপর আবার তিনি তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচির জন্য ভাতাড়ের ওড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ঢুকে পড়ায় হকচকিয়ে যান সবাই। চারিদিকে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে সটান উঠে যান দিলীপ ঘোষ। মঞ্চে উঠে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। দিলীপের চমকে হতবাক হয়ে যান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস এবিষয়ে বলেন,"যাই হোক মন্দের ভালো। সারাদিন দিলীপ ঘোষ  কুকথা, কটুকথা বলছেন। তবে উনি তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে গিয়ে জল খেয়েছেন। দেরিতে হলেও বিবেক জাগ্রত হচ্ছে। এখানে হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই। বাংলায় কোনও অশান্তি হয় না। তবে কেউ কেউ পাকানোর চেষ্টা করে।"প্রসঙ্গত, বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে তিরাশির বিশ্বকাপ তারকা কীর্তি আজাদকে। এদিনও নাম না করে কীর্তি আজাদকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রামে চা চক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন,"লোকে বিয়ের সময় ঘোড়ায় ওঠে। উনি এখন কেন ঘোড়ায় উঠেছেন, বুঝতে পারছি না। ঘোড়ায় ঘুরলে আবার পরিশ্রম হয় না কি! আমি হেঁটে ঘুরি। উনি হেঁটে ঘুরতে পারছেন না বলে ঘোড়ায় উঠেছেন।" উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের উত্তর বিধানসভা এলাকায় ঘোড়ায় চেপে প্রচার সারেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)