'প্রকৃত BJP কর্মীদের প্রার্থী করা না হলে নোটায় ভোট, পোস্টার মেরে জেতান তৃণমূলকেই!'
২৪ ঘন্টা | ১২ এপ্রিল ২০২৪
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: ভোটের মুখে ফের অস্বস্তির মুখে বঙ্গ বিজেপি। প্রার্থী নির্বাচনে অনাস্থা এনে শহরে সভা বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের। প্রতিবাদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে হবে, হুঁশিয়ারি মঞ্চের। “প্রকৃত বিজেপি” কর্মীদের প্রার্থী করা না হলে নোটায় ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈঠকে। প্রয়োজনে বিরোধী দলের হয়ে প্রচারেরও হুমকি মঞ্চের। প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষুদ্ধ এই মঞ্চ। রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে এর আগে সুকান্ত, অমিতাভদের ছবিতে জুতোপেটা করে আগুন লাগিয়েছিলেন এই বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির আদর্শ বাঁচাতে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কর্মীদের। প্রয়োজনে পোস্টার মেরে তৃণমূলকে জেতান। এমন আহ্বানও দেওয়া হয় সভায়। বলা হয়, "শত্রুর শত্রু আমাদের মিত্র। এই আদর্শ বিচ্যুত বিজেপিকে মানব না।" তবে এটাও তাঁরা স্পষ্ট করে দেন যে, "দল ছাড়ব না। বিজেপিকে রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে নির্দল প্রার্থী দেব। যে কায়দায় কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হল, সেই কায়দায় অভিষেককে গ্রেফতার নয় কেন? শুভেন্দুর নামে সিবিআই-এর চার্জশিট! তাঁকে নেতা হিসেবে মানব কেন? প্রতিটা প্রার্থী-ই অযোগ্য। চ্যালেঞ্জ করছি। প্রয়োজনে মানহানির মামলা হোক।" প্রসঙ্গত, প্রথম দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই অনেক জায়গায় তীব্র অসন্তোষ দেখা যায় বিজেপির অন্দরে। যেমন বীরভূমে প্রাক্তন IPS দেবাশিস ধরকে বিজেপি প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, এবার স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করলে সুবিধা পেত বিজেপি। সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের কথা না শোনার খেসারত দিতে হবে দলকে। এর পাশাপাশি দমদম, রায়গঞ্জ, রানাঘাট, মালদা উত্তর ও জয়নগরেও অসন্তুষ্ট স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দমদম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। আর তারপরই দেখা দিয়েছে ক্ষোভ অসন্তোষ। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অনেকে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের প্রার্থী করা হয়নি। প্রার্থী করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শীলভদ্র দত্তকে। এই নিয়ে অসন্তুষ্ট দলের আদি কর্মীরা দমদম এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেন। সেভ বেঙ্গল বিজেপির তরফে দেওয়া পোস্টারে লেখা, ‘দমদম লোকসভা কেন্দ্র ও বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া করার চক্রান্তকারী শুভেন্দু অধিকারী’র চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে মানছি না, মানব না।’ ওদিকে বারাসতের প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। আবার যেমন রায়গঞ্জে বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী করা হয়েছে। রায়গঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন কার্তিক পাল। যিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। দেবশ্রী চৌধুরীকে রায়গঞ্জ থেকে সরিয়ে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী করার পিছনে শুভেন্দুর কলকাঠি রয়েছে বলে দলের একাংশের বক্তব্য।