প্লেনের সাহায্যে খুব অল্প সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায়। আর তাই বেশিরভাগ মানুষই আজকাল প্লেনযাত্রা পছন্দ করেন। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা আবার ফ্লাইটে বসতে ভয় পান। তবে কিছু মানুষের মনে প্রায়শই একটি প্রশ্ন উঁকি মারে আর তা হল বিমান যাত্রার সময় মাঝ আকাশে মৃত্যু হলে কী হয়? এমন পরিস্থিতিতে বিমানের ক্রুরা কী করেন? বাস্তবে এমন পরিস্থিতির জন্য কেবিন ক্রু থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড ক্রু থেকে পাইলট পর্যন্ত সবাই প্রস্তুত থাকেন সব ধরণের ঝামেলার জন্য। তাহলে মঝ আকাশে যাত্রীদের মৃত্যু ঘটলে কী হবে?এক বিমান সেবিকা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাক অথব অন্য কারণে মঝ আকাশে কোনও যাত্রীর মৃত্যু হলে তখন কিছুই করার থাকে না। সেক্ষেত্রে বিমানের ক্রু অনুসারে, কর্মীরা অবশ্যই জরুরি ক্ষেত্রে সহায়তা করে। কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। ককপিটের সাহায্যে চিকিরসকদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হয়। আরাপ অবস্থায় প্লেন রুট করা হয়। তবে এক্ষত্রে সিপিআর শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই দেওয়া হয়। অন্যথায় ফ্লাইটে সিপিআর অনুমোদিত নয়।
কিন্তু যখন একজন যাত্রীকে মৃত ঘোষণা কর হয়, তখন দেহটিকে একটি ইন-ফ্লাইট বডি ব্যাগে রাখা হয়, তারপর বিমানের পিছনে রাখা হয়। এই সময় তার মাথা বন্ধ থাকে। তবে ফ্লাইটের পিছনে জায়গা না থাকলে সিটের উরই শরীরটি ঢেকে রাখা হয়। ক্যাপ্টেনকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়। এবং আসনটিও সুরক্ষিত করা হয়, যাতে বিমানটি অবতরণ করার সময় ঘটনাস্থলে কোনো পরিবর্তন না হয় এবং মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা যায়।
প্লেনে যাত্রাকালীন কখনও আপনর সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আপনার পাশে বসে থাকা ব্যক্তির যদি মৃত্য়ু হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মৃতদেহের পাশে বসে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। মধ্যা আকাশে প্লেনে যাত্রী মৃত্যুহলে সেই দেহটির একটি ডাকনাম দেওয়া হয়। এইচ আর, যার অর্থ হলো ‘মানব অবশেষ’।
একটি মৃতদেহ নিয়ে তিন ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ভ্রমণ করলে কেমন লাগবে? এর উত্তর হলো সেক্ষেত্রে আপনার সম্পূর্ণ যাত্রাটি অত্যন্ত বিভিষিকাময় হয়ে উঠবে এবং বাকি যাত্রাটি অত্যন্ত আতঙ্কের সঙ্গে শেষ হবে।