লকার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! SBI-এ সোনা গচ্ছিত রেখে সর্বশান্ত গ্রাহক
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
ব্যাঙ্কে গয়না রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন সুরক্ষিত থাকবে। সেভাবনায় জল! বরং এখন ভাবছেন এর থেকে বাড়িতে সোনা রাখলেই তো ভাল হত। এত টাকার সোনার গয়না যে রাতরাতি হাপিশ হয়ে যেতে পারে তাও আবার ব্যাঙ্ক থেকে তা বোধ হয় কল্পনাতেও আসেনি। অভিযোগ, স্টেট ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার লকার থেকে মহিলার ২০ ভরি সোনার গয়না চুরি গিয়েছে এক বৃদ্ধার। চুরি যাওয়া গয়নার মূল্য় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের যোগসাজশের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষয়টি কানপুরের রুরা থানা এলাকার এসবিআই শাখার। রুরার কালওয়ারী গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ মায়া দেবীর রুরা এসবিআই-তে বহু বছর ধরে একটি লকার রয়েছে। লকারটি ৩৫ বছর আগে তাঁর শ্বশুর মুন্নি সিং গৌর প্রথম নিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে শৈলেন্দ্র সিংও ছিলেন লকারের অংশীদার। মুন্নি সিংয়ের মৃত্য়ুর পর শৈলেন্দ্র সিং তাঁর স্ত্রী মায়া দেবীর সঙ্গে যৌথ ভাবে লকারটি চালাচ্ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরেই শৈলেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী চালাচ্ছিলেন লকারটি।
গত জানুয়ারিতে মৃত্যু হয় শৈলেন্দ্র সিংয়ের। এরপর ব্যাঙ্ক থেকে ওই লকারটি রিনিউয়ের জন্য় বারবার কল আসছিল। ৯ এপ্রিল মেয়ে নীরজাকে সঙ্গে নিয়ে লকারটি রিনিউ করাতে যান মায়া দেবী। কাগজপত্র সইয়ের পর লকার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন লকার ফাঁকা। একটা গয়নাও নেই। ব্যাঙ্ক ম্য়ানেজারের কাছে গোটা বিষয়টি জানালে তিনিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বলে অভিযোগ।অভিযোগ নানা অপ্রাসঙ্গিত কথা বলে আসল প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে যান। ঘটনার জেরে স্তম্ভিত হয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে জানান মায়া দেবীর মেয়ে নীরজা। অভিযোগ, পরের দিন ব্যাঙ্কে এসেফের লকার দেখতে চাইসে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে লকার খোলার অনুমতি দেননি বলে অভিযোগ।
ব্যাঙ্কের লকার থেকে গয়না চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মায়া দেবী। রুরা থানার এলাকা ইনচার্জ শিব নারায়ণ সিং জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যখন একজন গ্রাহক ব্যাঙ্কে একটি লকার ভাড়া নেন, তখন দু'টি চাবির মধ্যে একটি চাবি গ্রাহকের কাছে এবং অন্যটি সার্ভিস ম্যানেজারের কাছে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তালা দেওয়া লকার থেকে সোনার গয়না উধাও হল কী করে? তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে।