‘বুথে বাহিনী, বাইরে চ্যালা কাঠ নিয়ে বিজেপি কর্মী’, কাকলিকে হুঁশিয়ারি স্বপনের! সরব তৃণমূল
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের। তাঁর বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে কমিশনে অভিযোগ করেছিল বিজেপি কর্মীদের একাংশ। এবার প্রচার সভায় ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে ‘বিতর্কিত’ করায় সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস।নির্বাচনী প্রচারে অশোকনগরের একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভোট কেন্দ্রের বাইরে চ্যালা কাঠ নিয়ে রেডি থাকার বার্তা দিলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী স্বপ্পন মজুমদার। অশোকনগরে দলীয় কর্মসূচি সহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমন দাওয়াই এর কথা জানালেন স্বপম মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘এবার আর ভোট লুট করতে পারবে না তৃণমূল। ভোট কেন্দ্রের বাইরে চ্যালা কাঠ নিয়ে তৈরি থাকতে বলেন। এটা কোনও চোরেদের পঞ্চায়েত ভোট নয়, তাই এই ভোটে দিদির পুলিশ দিয়ে নয়, দাদার পুলিশ দিয়ে ভোট করা হচ্ছে। বুথে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।’ তাঁর নিদান, বাইরে চ্যালা কাঠ নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যকর্তারা তৈরি থাকবে ভোট লুঠ রুখতে। যারা মাস্তানি গুন্ডামী করতে আসবে তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এর আগেও এমন একাধিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে স্বপন মজুমদারকে ঘিরে। আবারও সেই বিতর্কিত মন্তব্যেই নিজেকে জিইয়ে রাখলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার।
'বার বার চারবার' কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নির্বাচনী প্রচারে থিম সং
এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী অবশ্য দিলীপ ঘোষ ও স্বপন মজুমদারকে এক সুতোয় বেধেছেন। পাশাপাশি তিনি পাল্টা বলেন, ‘বিজেপি এবার চ্যালা কাঠ নিয়ে থাকুক আর গোট গাছ কাঁধে নিয়ে থাকুক। বিজেপি বাংলায় ডবল সংখায় পৌঁছবে না। অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।’ তাঁর কথায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার তিন বারের সাংসদ। তিনি চার বারের সাংসদ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই তার মত রাজনীতবিদ সম্বর্কে বিজেপি প্রার্থীর জ্ঞান না দেওয়াটাই ভালো।
প্রসঙ্গত, এর আগে বারাসতের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন গতবারের এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ মৃণাল কান্তি দেবনাথ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ' এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রচারেও নামবো না, বিজেপিকে ভোট দেব না, অন্য কাউকে দেব।' বারাসতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভালো প্রার্থী না দেওয়ায় তিনি আশাহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।