হাওড়ায় নির্দল প্রার্থী প্রাক্তন মিম নেতা, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা?
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়, হাওড়া: তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন মিমের প্রাক্তন কনভেনার এজাজ আহমেদ। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের বঞ্চনার বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোটে দাঁড়ায় তবে তাঁকে সমর্থন করা হবে।আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। এখানে তৃণমূল, বিজেপির পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী লড়ছেন। তবে এই ভোটে অন্য মাত্রা যোগ করেছে মিমের প্রাক্তন কনভেনার এজাজ আহমেদের দাঁড়ানো। তিনি এ বার ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা এজাজ আগে ওই এলাকায় বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিহার উত্তরপ্রদেশে মতো এখানেও সংখ্যালঘু ভোট কাটতে এজাজকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘বিজেপি নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ করছে। এজাজ আহমেদের ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। তাঁকে ভোটে দাঁড় করাচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন। ওকে কেউ ভোট দেবে না। তাই এতে বিজেপির কোনও লাভ হবে না।’
নির্দল প্রার্থী এজাজ আহমেদ বলেন, ‘প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া সদর কেন্দ্র থেকে তিন বার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলেও তিনি এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। পার্লামেন্টে হাওড়ার সমস্যা নিয়ে তাঁকে কথা বলতে শোনা যায়নি। সংখ্যালঘু মানুষদের উন্নয়নের জন্য তিনি কোনও কাজ করেননি। তাঁদের শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন। এই বঞ্চনার প্রতিবাদেই আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি।’
এজাজ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু করেন না। আর এখানে তৃণমূলও তাই। তাই আমরা ওই দুই দলের বিরুদ্ধে লড়ছি।’ প্রাক্তন মিম নেতা ভোটে দাঁড়ানোয় বিজেপির কি রাজনৈতিক সুবিধা হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি প্রার্থী ও হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘সংখ্যালঘু অথবা সংখ্যাগুরু যাঁরা বঞ্চনার শিকার, যাঁরা আওয়াজ তুলছেন, তাঁদের পাশে আমরা আছি। তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করলেও তাঁদের উন্নয়নে কিছুই করেনি।’
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, বিজেপির পক্ষ থেকে অপপ্রচার করা হলেও তাতে কোনও লাভ হবে না। সংখ্যালঘু মানুষরা তাঁর সঙ্গেই আছেন।