Suvendu Adhikari : 'অপরাধীর মুক্তাঞ্চল বাংলা', বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে আততায়ী ধরা পড়তেই আক্রমণ শুভেন্দুর
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে NIA। শুভেন্দু গড় থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা, গোটা রাজ্যকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘সেফ জোন’ বলে ব্যাখ্যা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজনকে আজ সকালেই গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইয়ের সঙ্গে রাজ্য পুলিশেরও একটি দল ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এখানে লুকিয়ে ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদ। ভোটের মুখে রাজ্য থেকে দুই আততায়ী ধরা পড়তেই এবার সুর চড়াতে শুরু করল বিরোধীরা।
বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল এটা আগেও প্রমাণিত। পাঞ্জাব পুলিশ চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতী এনকাউন্টার করেছে। মুজিবর রহমানের দু’জন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত খুনি একজন হাওড়ায় হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হিসেবে ছিল। পরে পার্ক সার্কাস থেকে মাজেদকেও ধরা হয়। পার্ক সার্কাস মানে শহরের প্রাণ কেন্দ্র। তাঁর কথায়, ‘এটা স্বাভাবিক যে গোটা দেশে যত বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘটনা ঘটে তাদের সেফ জোন এইটা।’
Kunal Ghosh on Bhupatinagar Incident : 'বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে ভূপতিনগরে যায় NIA', অভিযোগ কুণালের
শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফে বিএসএফকে জমি দেওয়া হয়নি, যাতে কাঁটাতারের বেড়া না লাগানো যায়। রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এতো সবাই জানে। ওরা বলছে ২৬ তারিখের পর আমাদের সেন্ট্রাল বাহিনী থাকবে। এই সেন্ট্রাল বাহিনী কে? শেখ শাহাজাহান, মেহেদী হাসান, মিনাখার আয়ুব গাজি, বাসন্তীর রাজা গাজি, ফলতার জাহাঙ্গীর, ক্যানিং এর শওকত মোল্লা।’
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘এটা ফ্যাক্ট যে আইনের হাত মুভ করতে শুরু করেছে। অপরাধীরা ধরা পড়ছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো।’ তাঁর কথায়, ভারত একটি মহান দেশ। বাংলা তার জনপ্রিয় একটি অংশ। অপরাধীরা দেশের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক, তারা ধরা পড়বেই। এটা একটা শিক্ষা।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি। সে একটি ব্যাগ রেখে আসে সেখানে। তাতে টাইমার সেট করা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এক ঘণ্টার মধ্যেই সেখান বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে ঘটনার ২৭ দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করলেও আরও দুজন পলাতক ছিল। তারা দুজন এই রাজ্যে এসে লুকিয়েছিল বলে খবর ছিল NIA-এর কাছে। অবশেষে আজ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কাঁথি থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন আস্তানা থেকে তুলে আনা হয়েছে তাদের।