Salwan Momika Alive: ভয় দেখানোর জন্য মৃত্যুর ভুয়ো খবর! কোরান পুড়িয়ে শিরোনামে আসা মোমিকা জীবিত
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
মাস খানেক আগেই ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্ণগ্রন্থ কোরান পুড়িয়ে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন সলওয়ান মোমিকা। ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পরই দেশ ছাড়েন মোমিকা। চলে গিয়েছিলেন নরওয়েতে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রকাশ্যে আসে খবর। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বেঁচে থাকার বার্তা দিলেন খোদ সলওয়ান মোমিকা। ইসলামের তীব্র সমলোচক প্রাক্তন ইরাকি মিলশিয়া নেতা জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন।‘যারা ইসলামকেসন্দেহ করে বা সমলোচনা করে তাদের ভয় দেখানোর জন্য’ তাঁর মৃত্যুর গুজব পোস্ট করা হয়েছিল বলে নিজের বার্তায় সাফ জানিয়েছেন পবিত্র কোরান পুড়িয়ে কুখ্যাত হয়ে ওঠা সলওয়ান মোমিকা।
শুক্রবার একের পর এক বার্তায় মোমিকা নরওয়ে নিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতার হৃদয়ে গুলি চালিয়েছে’। তিনি নরওয়েতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিজের পোস্ট করা বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমার বন্ধুরা আমি ঠিক নেই। আমি স্বাধীনতার মূল্য এবং সত্য কথার মূল্য দিচ্ছি। গোটা বিশ্ব আমার বিরুদ্ধে এবং নরওয়ে স্বাধীনতার হৃদয়ে একটি বুলেট ছুঁড়েছে।’
আরেকটি পোস্টে সলওয়ান মোমিকা বলেছেন, ‘নরওয়েতে আমার মৃত্যুর খবর যে সংবাদপত্র এবং নিউজ সাইটগুলো প্রকাশ করেছে সেগুলো মিথ্যা, এবং তাদের লক্ষ্য হল ইসলামকে সন্দেহ বা সমালোচনাকারী সবাইকেভয় দেখানো। তাই আমি বলছি আপনার মিথ্যা গুজব এবং মিথ্যা মিডিয়া আমাদের ভয় দেখাতে পারবে না।’
অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি বর্ণনা করেছেন কীভাবে তাকে আটক করা হয়েছিল এবং তার ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
তিনি নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি এবং নরওয়ের কর্তৃপক্ষ দ্বারা আমার উপর অবিচার করা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করব না। আমি পৌঁছনোর পর তারা আমাকে গ্রেফতার করে এবং ফোন কেড়ে নেয়।’
সলওয়ান মোমিকা নিজেকে একজন উদার নাস্তিক সমালোচক এবং চিন্তাবিদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শুক্রবর মোমিকা তাঁর পোস্টের মধ্যমে জানিয়েছেন যে, তাঁকে নরওয়ের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনি নরওয়ের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির স্বরূপ, তাই আপনাকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সলওয়ান মোমিকাকে আতিথেয়তা দেওয়ার পর একাধিক ইসলামিক দেশের ক্ষোভের মুখে পড়েছিল সুইডেন। নরওয়ের মতোই মোমিকার ইসলম বিরোধী অবস্থান এবং কোরান পোড়ানোকে সুইডেনের নিরপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।