• Rameshwaram Cafe Blast : জনপ্রিয় রেস্তরাঁয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলায় গা ঢাকা, ঠিক কী ঘটেছিল রামেশ্বরম ক্যাফেতে?
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে NIA। তাদের মধ্যে একজন ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল বলেও খবর। ঠিক কী ঘটেছিল মাসখানেক আগে? এই ঘটনার নেপথ্যে কী সন্ত্রাসবাদ যোগ রয়েছে?কবে-কখন এই বিস্ফোরণ?ঘটনার সূত্রপাত গত ১ মার্চ। বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত রামেশ্বরম ক্যাফেতে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় নয় থেকে ১০ জন গুরুতর আহত হন। রামেশ্বরম ক্যাফে বেঙ্গালুরুর অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যশালী রেস্তরাঁ। বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে ক্যাফেটির হোয়াইটফিল্ড শাখায়।

    ঘটনার পরই ক্যাফেতে পৌঁছয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। দলের ফরেনসিক আধিকারিকরা জানান, সেটি ছিল একটি IED বিস্ফোরণ। অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তি রেস্তরাঁর ভিতর বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ রেখে আসে। যার জেরেই এই বিস্ফোরণ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।

    শিরোনামে জনপ্রিয় ক্যাফেপ্রায় প্রত্যেকদিনই বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার রামেশ্বরম ক্যাফের এই ব্রাঞ্চে গ্রাহকদের ভিড় দেখা যায়। সেদিনও ভিড়ে ঠাসা ছিল রেস্তরাঁটি। দুপুর ১টা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ক্যাফে। স্তম্ভিত হয়ে পড়েন গ্রাহকরা। বেশ কয়েকদন রেস্তরাঁ কর্মী এবং গ্রাহক বিস্ফোরণের জেরে আহত হন। আহত নয়জনকে ব্রুকফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তবে কারও প্রাণহানি হয়নি।

    উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই ক্যাফেটে প্রতিষ্ঠা করেন দিব্যা রাঘবেন্দ্র রাও ও রাঘবেন্দ্র রাও। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের জন্মস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই নামটি বেছে নেওয়া হয় রেস্তরাঁর নাম হিসেবে। ভালো গুণমানের খাবার, কৃত্রিম রংমুক্ত, সুস্বাদু রেসিপি, টাটকা পরিবেশন রামেশ্বরম ক্যাফেতে বারবার টেনে আনে গ্রাহকদের। প্রতিদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকে হোয়াইটফিল্ড এলাকার এই ক্যাফেটি। ঘটনাচক্রে ১ মার্চ গ্রাহক থাকলেও বেড়া গড়িয়ে আসায় বন্ধ করার সময় প্রায় এগিয়ে এসেছিল। সে সময়ই বিস্ফোরণটি ঘটে।

    বাংলা থেকে গ্রেফতার 'মাস্টারমাইন্ড'রামেশ্বরম বিস্ফোরণ কাণ্ডে বাংলা থেকে NIA গ্রেফতার করেছে আবদুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হুসেইন শাহজিবকে। গত তিন-চারদিন ধরে ছদ্ম পরিচয়ে তারা দিঘার একটি হোটেলে থাকছিল। সেখানেই থেকেই তাদের খুঁজে বের করে NIA এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ টিম। প্রসঙ্গত, গত মাসেই ৩০ বছরের এই আবদুল মাথিন তাহার মাথার উপর ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল NIA। এই ব্যক্তিই রামেশ্বরম ক্যাফেতে IED রেখে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। কর্নাটকের শিবামগ্গা জেলার বাসিন্দা এই দুই ধৃত। তাহা পেশায় এক IT ইঞ্জিনিয়ার। নিজের এলাকা থেকেই IS মডিউলে কাজ করতে সে।
  • Link to this news (এই সময়)