Bombay High Court: 'উপার্জনে অক্ষম প্রাক্তন স্বামীর খোরপোশের দায়িত্ব স্ত্রীর' মাসিক ১০ হাজার টাকা ভরণপোষণের নির্দেশ হাইকোর্টের
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
নজিরবিহীন রায় দিল বম্বের হাইকোর্ট। সাধারণ আদালত স্বামীকেই তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণের নির্দেশ দিয়ে থাকে। তবে এক মামলায় স্ত্রীকে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশ প্রতি মাসে স্বামীকে ১০ হাজার টাকা ভরণপোষণ দিতে হবে স্ত্রীকে।প্রাক্তন স্বামী অসুস্থ হলে তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে উপার্জনকারী স্ত্রীকে, সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালত সাফ জানিয়েছে, প্রাক্তন স্বামী অসুস্থতার কারণে উপার্জন করতে না পারলে তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্ত্রীর। প্রতি মাসে স্ত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে স্বামীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ২ এপ্রিল এমন নির্দেশ দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি শর্মিলা দেশমুখ।
বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, হিন্দু বিবাহ আইনে 'সঙ্গী' শব্দে বোঝায় স্বামী ও স্ত্রী দু'জনকেই। পাশাপাশি হিন্দু বিবাহ আইনের ২৪ নম্বর ধারায় 'স্পাউস' বা 'সঙ্গী' শব্দটির উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধারায় স্বামী বা স্ত্রীর যে কোনও একজনের রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা না থাকার কথা বলা হয়েছে। বম্বে হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে, মহিলার স্বামী অসুস্থ। সেই কারণে তিনি উপার্জনে সক্ষম নন। তবে আদালত এই বিষয়টিরও বিরোধিতা করেননি যে ওই ব্যক্তির প্রাক্তন স্ত্রী তিনি। তবে স্বামী যখন নিজের রক্ষণাবেক্ষণ করতে অপারগ হন এবং তাঁর স্ত্রী যদি রোজগেরে হয় তবে তাঁরই স্বামীর দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
২০২০ সালের মার্চ মাসে নিম্ন আদালত মহিলাকে প্রত্যেক মাসে তাঁর স্বামীকে ১০ হাজার টাকা ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করেই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। তবে সেখানেই তাঁর বিপক্ষে রায় দেয় আদালত।
মহিলা আদালতে জানান, তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাও ভালো নয় যে প্রতি মাসে স্বামীকে ১০ হাজার টাকা করে ভরণপোষণ দিতে পারেন। তাঁকে বাড়ির জন্য ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে তিনি স্বামীকে ১০ হাজার টাকা দেবেন? পাশাপাশি মহিলার আরও দাবি ছিল, ২০১৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সময় নিম্ন আদালত তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রতি মাসে স্বামীকে ১০ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার। পালটা আদালত তাঁকে বলে মহিলার কোনও রোজগার না থাকলে কী ভাবে তিনি নিজের ও শিশুর খরচ চালাচ্ছেন? বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, ওই মহিলা একবারও অস্বীকার করেননি তিনি রোজগার করছেন না। সন্তানের দেখাশোনা ও গৃহঋণ কী ভাবে পরিশোধ করছেন সেই ব্যয়ের টাকাও কোথা থেকে আসছে সেই সম্বন্ধে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।