কোচবিহারের সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সিনেমা করার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে এই মঞ্চ থেকে সরাসরি কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থীর নামও নিলেন মমতা।তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'একটা নেতা কেমন হয়? যে সহজ সরল থাকে। আর একটা নেতা কেমন হয়? যে ১০টা পুলিশের গাড়ি নিয়ে, ২০টা গুন্ডা নিয়ে, বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে বেড়ায়। আমি দুঃখিত যে প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে থাকে। কীসের ভয়? চাকরি যাবে? নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেবে? দু'মাস পরে কী করবেন? তার থেকে এখনই দিল্লি চলে যান না, কে বারণ করেছে? হয় দিল্লি যান, নয়তো নিশীথের বাড়ি চলে যান, তাহলে আর আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না।' এরপরেই মমতার সাফ হুঁশিয়ারি, 'কোচবিহারে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। সব পুলিশ খারাপ নয়, ৩-৪ জন, বাদবাদি সবাই ডেডিকেটেডলি কাজ করেন, তাঁদের আমি প্রশংসা করি, তাঁদের আমি স্যালুট জানাই।'
মমতা বলেন, 'আমরা বলেছিলাম বিনা পয়সায় রেশন দেব, রেশন পান কি পান না? আমরা তো বন্ধ করিনি এক দিনের জন্যও। মোদীবাবু ছবি লাগিয়ে কোভিডে ৬ মাস দিয়ে তারপরে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কোভিডে একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তাতেও নিজের ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন। এত আত্মপ্রচার করতে ভালোবাসেন। সিনেমায় নামা উচিত। সিনেমায় ভালো অভিনয় করতে পারবে। ওটাও একটা আর্ট। যাঁরা সিনেমা করেন, অনেক খেটে করেন। ময়দানে সিনেমা করার কী দরকার? সত্যিকারের সিনেমা জগৎটাকে উন্নত করুন, আমরা খুশি হব।'
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি দক্ষিণ জিনাজপুরের সভায় বালুরঘাটকে 'বেলুরঘাট' বলে উচ্চারণ করতে শোনা গিয়েছিল শাহকে। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই উচ্চারণকে কটাক্ষ করে তৃণমূল। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, 'বুনিয়াদপুরকে বলছে বেলুরঘাট, নামটাও জানে না, বালুরঘাট আলাদা।'
প্রসঙ্গত, দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে একের পর এক সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও এক দফা উত্তরবঙ্গে প্রচার সেরে গিয়েছেন তিনি। আজ থেকে ফের শুরু হল তাঁর উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী সভা।