• বিষ্ণুই এখন বিজেপির গলার কাঁটা, তৃণমূলকে সাহায্যের অভিযোগ রাজুর
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়, শিলিগুড়ি: দু’সপ্তাহ পরেই পাহাড়ে ভোট। তবু কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদকে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক তথা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার প্রশ্ন নেই।কারণ, বিজেপির মধ্যে পৃথক রাজ্যের দাবিদারের সংখ্যা কম নেই। তাঁরাই বিষ্ণুপ্রসাদের শক্তি। দলে থেকেই তিনি পৃথক রাজ্যের দাবিতে এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ভোটও চাইবেন জনতার কাছে। উত্তরবঙ্গ ভিত্তিক পৃথক রাজ্যের দাবি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন জন বার্লা। রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন দেওয়ার পরেও পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেননি কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ।

    বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক পৃথক রাজ্যের বিরোধী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অথচ নির্বাচন এলেই পাহাড়ে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব পৃথক রাজ্যের কথা বলে ভোট চান। ইস্তাহারেও আকারে ইঙ্গিতে পৃথক রাজ্যের পক্ষেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।’ তাঁর কথায়, ‘নেতৃত্বের এই ভণ্ডামি তিনি সকলের সামনে তুলে ধরতে চান।’

    এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব আমায় পার্মানেন্ট পলিটিক্যাল সলিউশন বা পিপিএসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পৃথক রাজ্যের কথাই বলেছিলেন। অথচ বিধানসভায় পৃথক রাজ্য নিয়ে কথা বলতে আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি চুপ থাকব না। নির্বাচনী প্রচারে নেতাদের ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দেব।’

    বিষ্ণুপ্রসাদ দার্জিলিং লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার পরেই বিজেপির অন্দরে তো বটেই, পাহাড়েও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ত প্রকাশ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, প্রার্থী হয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ আসলে তৃণমূলকে সাহায্য করছেন। পাহাড়ের আমজনতার মধ্যেও জল্পনা শুরু হয়েছে, নির্দল প্রার্থীই কী ভোট কেটে দার্জিলিং আসনে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দেবে! বিষ্ণুপ্রসাদ উল্টোটাই মনে করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমি পৃথক রাজ্য চাই। পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষ পৃথক রাজ্যের পক্ষে। তাহলে কে, কার ভোট কাটবে? আমি মনে করি, বিজেপির অফিশিয়াল প্রার্থী আমার ভোট কাটার চেষ্টা করবেন।’ তাঁর অভিযোগ, গত পনেরো বছর পাহাড় থেকে বিজেপি বার বার লোকসভা আসনে জয়ী হলেও কিছুই করেনি।

    বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, ‘উনি বিজেপিতে এসেছেন ধান্দা করতে। সেটা পারছেন না বলেই এসব বলছেন। আমরা দেখতে চাই নির্দল প্রার্থী হয়ে উনি কটা ভোট পান।’
  • Link to this news (এই সময়)