পদে পদে হোঁচট, ভাঙা রাস্তায় যন্ত্রণার শেষ নেই সল্টলেকে
এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: বহু সরকারি, বেসরকারি অফিস, অনেক অভিজাতর বসবাস যে উপনগরীতে, সেই ‘পরিকল্পিত শহর’ সল্টলেকে নাগরিকদের নিত্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেহাল রাস্তা। কোনও ব্লক বা আবাসনের ভিতরের রাস্তা নয়, বরং সেই সব রাস্তা, যা ধরে অনেক কম যানজট পেরিয়ে, অনেক তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়া যায় বাইপাসে--তেমন বহু রাস্তার হাল এমনই, যে অনেকেই সে সব রাস্তা এড়িয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছেন।যদিও বিধাননগর পুরনিগমের দাবি, সল্টলেকের সিংহভাগ রাস্তাই মেরামত করা হয়েছে। পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের রাস্তা সারানোর জন্যে টেন্ডার ডেকে ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। ৮০ শতাংশ কাজও হয়ে গিয়েছে। যা বাকি, তা-ও খুব শিগগিরই হয়ে যাবে। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ফলে যে রাস্তাগুলির টেন্ডার ডাকা যায়নি, সেগুলির টেন্ডার-প্রক্রিয়া নির্বাচনের পরেই করে ফেলা হবে।’
পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডলের (পূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বক্তব্য, ‘রাস্তা সারানোর কাজ বেশির ভাগ জায়গাতেই হয়ে গিয়েছে। সব ওয়ার্ডেই কাজ হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় এখনও কাজ চলছে। যা বাকি আছে, সে-সবও করা হবে।’
যে যে রাস্তার হাল খুব খারাপ
* জিডি বাস টার্মিনাসের বিপরীতে যে রাস্তাটি সোজা ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের দিকে চলে গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল ওই রাস্তাটি। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বহু বার বলেও কাজ হয়নি। প্রতিশ্রুতি মিললেও সারানো হয়নি ওই রাস্তা।
* সেচ আবাস থেকে খালপাড়ের দিকে যেতে দু’দিকের রাস্তারই ভাঙাচোড়া অবস্থা। ব্লকের অন্য রাস্তা সারানো হলেও এই রাস্তা দু’টির দিকে নজর পরেনি পুর-প্রশাসনের।
* সেচ আবাস থেকে ১২ নম্বর ট্যাঙ্কের দিকে যাতায়াতের রাস্তাও জায়গায় জায়গায় গর্ত হয়ে রয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গাড়ি ও মোটরবাইক চালকদের।
* মহাবীর বিকাশ আইল্যান্ড থেকে খালপাড় যাতায়াতের রাস্তার অবস্থাও ভয়াবহ। তথৈবচ ১৪ নম্বর আইল্যান্ড থেকে খালপাড় যাওয়ার রাস্তাটিও। রাতে পর্যাপ্ত আলোও থাকে না বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
* ১৬ নম্বর ট্যাঙ্ক লাগোয়া প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিপরীতের রাস্তাটিও বেহাল দীর্ঘদিন। পুরো রাস্তা না-হলেও খাল লাগোয়া খানিকটা অংশ একেবারে ভেঙে গিয়েছে। সেখান থেকে গাড়ি বা রিকশায় যাতায়াত বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
--দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ অবস্থা সল্টলেকের এই রাস্তাগুলির। সেগুলি ভালো থাকলে যাতায়াতের সুবিধা তো হতোই, যানজট বাঁচিয়ে অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারতেন নিত্যযাত্রীরা। এই সব রাস্তা কত দিনে ঠিক হয়, এখন সেটাই দেখার।