• Rameshwaram Cafe Blast: বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলায় গা ঢাকা, কী ভাবে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছিল ২ জঙ্গি? দেখুন NIA-র CCTV ফুটেজ
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • বেঙ্গালুরুর ক্য়াফে বিস্ফোরণকাণ্ডে দুই সন্দেহভাজনকে বাংলার কাঁথে থেকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল চক্রী ছিল তারা। পূর্ব মেদিনীপুর গ্রেফতার করা হয় ওই দুই চক্রীকে। NIA-এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দলও ছিল।

    ধৃতদের নাম আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেই শাজিব। এনআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, মুসাভিরই ক্যাফের মধ্য়ে বিস্ফোরক রেখে এসেছিল। পরিকল্পনার পিছনে ছিল ত্বহা। এর আগে এই ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আটক করেছিল। গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ, ক্যাফেতে ঢুকে এক ব্যক্তি বিস্ফোরক বোঝাই একটি ব্যাগ রেখে আসে। তাতে সেট করা ছিল টাইমার। একঘণ্টা পর বিস্ফোরণে আহত হন ১০ জন। পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল IED। NIA-এর হাতে তদন্ত ভার যায় ৩ মার্চ।

    ঘটনার পর প্রায় ৩০০ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দক্ষিণ ভারত জুড়ে চিরুণি তল্লাশি শুরু করে NIA। কর্নাটক, কেরল, তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ুর মতো একাধিখ শহরের সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখা শুরু হয়। অবশেষে মূল সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে NIA। তদন্তে জানা যায়, মুশাবীর হোসেন সাজিব বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ট। সঙ্গী ছিল ত্বহা। দু'জনের কর্নাটকের শিবমোগা জেলার তীর্থহল্লির বাসিন্দা। মুসাভির ওই দিন ক্যাফেতে ঢুকে আইইডি রেখে এসেছিল। NIAএর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে।

    দেখুন কী ভাবে সেদিন ক্য়াফেতে বিস্ফোরক রেখে এসেছিল মুসাভির

    অপরাধের পর জনসমক্ষেই দেদার ঘুরে বেরিয়েছে দুই অভিযুক্ত। কখনও সকলের মধ্য়ে বাসে উঠে বসে থেকে নির্দিষ্ট স্টপেজে নেমে গিয়েছে কখনও আবার অতি পরিচিত জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে। তাদের চলাফেরা দেখে কারও সন্দেহের অবকাশই ছিল না তারাই ঘটনার মূল পাণ্ডা। চলাফেরা, ভাবভঙ্গিমাও ছিল আর পাঁচজনের মতোই। কেউ যাতে ঠাওর করতে না পারে সেই কারণে প্রতিটা স্টেপ সন্তর্পণে ফেলেছে দুই অভিযুক্ত। তাদেরকে চিহ্নিত করে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল NIA। তবে পরিচয় জানতে খানিক বেগ পেতে হয়। চেন্নাইয়ের এক কাপড়ের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বোঝা যায়, দুই অভিযুক্তই চেন্নাইতে নাম ভাঁড়িয়ে ছিল। ব্যবহার করা হয়েছিল ফেক সিম কার্ড। দুই অভিযুক্তের মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করে এনআইএ। জীবিত অথবা মৃত যে কোনও অবস্থায় তাদের তথ্যের জন্য আবেদন করা হয়।

    দেখুন NIA-এর প্রকাশ করা ভিডিয়ো (সৌজন্য়ে: NIA)

    কী ভাবে বাসের মধ্যে সকলের মাঝেই বসেছিল এক অভিযুক্ত, দেখুন ভিডিয়ো (সৌজন্য়ে: NIA)

    NIA-এর তরফে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সাবধান করা হয়। খবর পেয়েই সক্রিয় হয়ে যায় ভবানী ভবন ও লালবাজার। একাধিক পুলিশ অফিসার অনুসন্ধানে নামে। জানা যায়, মধ্য় কলকাতার হোটেলে একই ভাবে নাম ভাঁড়িয়ে দুই অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় তাদের গতিবিধি চিহ্নিত করে। জেলা পুলিশও নজর রাখে। গোয়েন্দারা অভিযুক্তদের সব গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেন। অবশেষে ১২ এপ্রিল শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
  • Link to this news (এই সময়)