• আবারও মাঠে আব্বাস সিদ্দিকি? নওশাদ বললেন, 'রেজাল্টের উপর নির্ভর করছে'
    এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • প্রীতম বন্দ্যোপাধ্যায় | এই সময় ডিজিটাল

    লোকসভা ভোটের প্রচার তুঙ্গে। ডান বাম সব পক্ষই নেমে পড়েছে প্রচারের ময়দানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে একের পর এক প্রচার সভা করছেন। রাজ্যের তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের পাশাপাশি নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে আইএসএফ-ও। তবে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের অনেকেরই প্রশ্ন, বিধানসভার মতো লোকসভা নির্বাচনেও কি প্রচারে নামবেন আব্বাস সিদ্দিকি? এই সময় ডিজিটালে এই বিষয়ে মুখ খুললেন আব্বাসের ভাই তথা দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি।এই বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'ভাইয়েরা যখন দায়িত্ব সামলে নিতে পারছে..., দাদা তো পর্যবেক্ষণে আছেন। আমরা কী করছি, তা দেখছেন। আমরা ব্যর্থ হলে অবশ্যই দলের প্রতিষ্ঠাতাকে দেখতে পাবেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সব সময় চান নেতৃত্ব উঠে আসুক। তিনি ২০২১ সালে দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করেছেন, প্রসার করেছেন, এখন আমাদের কাঁধে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা কী রেজাল্ট করছি, তার উপর নির্ভর করছে আগামীদিনে তিনি আরও বেশি দায়িত্ব পালন করবেন, না কি আমাদের মতো নেৃতৃত্বের আরও উঠে আসার জায়গা থাকবে।'একইসঙ্গে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি যে লড়ছেন না, তাও জানিয়ে দেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি।

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে থেকে নওশাদ সিদ্দিকি লড়তে পারেন, বঙ্গ রাজনীতিতে এমনটাই চর্চা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। নওশাদ নিজেও সেই লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর তাই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে যায় রাজ্যের রাজনৈতিকমহলে। নওশাদকে লাগাতার কটাক্ষ করতে থাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ওই কেন্দ্র থেকে নওশাদ সিদ্দিকির নাম ঘোষণা করেনি আইএসএফ। পরিবর্তে মজনু লস্করকে প্রার্থী করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এই ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকেই পরপর দু'বার জয়ী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও ওই কেন্দ্র থেকে তিনিই লড়ছেন।

    এদিকে শধু ডায়মন্ডহারবারই নয়, অন্য কোনও কেন্দ্র থেকেও নওশাদ না দাঁড়ানোর ঘোষণা করায়, তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল। ওই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকায় বিজেপির টাকায় মদতপুষ্ট নেতা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কথা বলে, ৫ লাখ ভোটে হারার ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেলেন। আর সমস্ত জায়গায় কী ভাবে ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া যায় সেই অঙ্ক কষে বেড়াচ্ছেন।'
  • Link to this news (এই সময়)