NIA Arrests In West Bengal : আবেদনে দ্রুত সাড়া, দিঘায় ২ জঙ্গি গ্রেফতারির সাফল্যে রাজ্য পুলিশকেও কৃতিত্ব NIA-এর
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
কলকাতার কাছে লুকিয়ে আছে দুই জঙ্গি। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। NIA-এর তরফে এই তথ্য পাঠানো হয় রাজ্য পুলিশের কাছে। রাজ্য পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ায় দুই জঙ্গিকে ধরা সম্ভব হয়েছে, একটি বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।NIA একটি বিবৃতি দিয়ে এদিন জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা ভুল পরিচয়ের অধীনে কলকাতার কাছে একটি লজে অবস্থান করছে তা জানতে পেরে আমরা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে অভিযুক্তদের অনুসন্ধানের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। যার ফলে অনুসন্ধান অভিযানের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে এবং উভয় আততায়ীকে গ্রেফতার করা গিয়েছে।
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থেকে দুই আততায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিষয় জানাজানি হতেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিজেপি। রাজ্য আন্তর্জাতিক অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও, পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই অভিযানে NIA আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশ যুক্ত ছিল।
রাজ্য পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়েও জানানো হয়, রাজ্যে কখনওই সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য ছিল না। বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে সদা তৎপর রাজ্য পুলিশ। NIA টিমকে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের পুলিশ তৎপর ছিল বলেই দাবি করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের তরফে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে এদিন NIA বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল, এই অভিযানকে সফল করতে এবং ওই দুই আততায়ীকে হাতেনাতে ধরতে সাহায্য করেছে রাজ্য পুলিশ।
দুই আততায়ীকে কলকাতার NIA স্পেশাল কোর্টে তোলা হয়। তাদেরকে তিনদিনের জন্য ট্রানজিট রিমান্ডে হেফাজতে পেয়েছে NIA। NIA-এর আইনজীবী জানান, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে একাধিক জিনিস উদ্ধার করা গিয়েছে। বিশেষত, ডিজিটাল মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন ডিভাইস যথা মোবাইল ফোন, একাধিক সিম কার্ড, ভিপিএন মেশিন সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালেই মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদকে নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে NIA। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যও আগেই জানিয়েছিলেন, রাতেই তাঁদের কাছে এই বিষয় খবর চলে এসেছিল। এরপর সঙ্গে সঙ্গে দুই জঙ্গিকে ধরার প্ল্যান ছকে ফেলা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সফল অপারেশন হয়। NIA-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই দুই অভিযুক্তকে।