লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। বঙ্গ রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে। এই অবস্থায় এবার BJP-র 'প্রকৃত কর্মী'-দের প্রার্থী করা হয়নি এই অভিযোগ তুলে 'নোটা'-য় ভোট দেওয়ার ডাক দিল 'BJP বাঁচাও' মঞ্চ। এই মর্মে বৃহস্পতিবার কলকাতায় তাঁরা একটি সভাও করে। সেখানে BJP-র একাংশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তারা।২০২১ সালের মতো ২০২৪ সালের নির্বাচনেও 'ভুল প্রার্থী'-দের বেছে নেওয়া হয়েছে এমনটাই দাবি তাঁদের। নিজেদের 'আদি BJP' বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট মঞ্চের সদস্যরা। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাজ্য BJP নেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচন যখন দোরগোড়ায় সেই সময় BJP বাঁচাও মঞ্চের ‘নোটা’-য় ভোট দেওয়ার আহ্বান রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে BJP বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক দীপক সরকার বলেন, 'আমাদের একটা আদর্শ রয়েছে। যাঁরা হঠাৎ করে দলে আসছেন তাঁদের প্রশয় দিতে আমরা নারাজ। আমরা নিজের ঘরে চোর পুষব আর পরের ঘরে চোর তাড়াব তা চাই না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। অসৎ প্রার্থী যাঁরা তাঁদের রাজনীতিতে ঠাঁই দিতে চাই না। সেই জন্য আমরা বলছি ভালো মানুষ দেখে ভোট দিতে। যেমন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজন বোধে নোটায় ভোট দিন। কিন্তু, অসৎ লোকেদের কোনও পার্টিতে যাতে ঠাঁই না হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে।’
দীপক সরকার নিজেকে ‘আদি BJP’ বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, সমস্ত জায়গায় আবেদন জানানো হয়েছিল তাঁদের তরফে। কিন্তু, তাঁদের দাবিতে আমল দেওনি উচ্চ নেতৃত্ব। দীপকদের মন্তব্য, ‘আমাদের দাবি সৎ ব্যক্তিরা রাজনীতিতে আসুক। বারাসতের BJP প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এখন বহু লোক BJP-তে রয়েছে যাঁরা অন্য দল থেকে আসা।’
লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই এই টার্গেট মিট করার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন দলীয় নেতারা। এরই মধ্যে বিজেপি বাঁচাও-এর এই উদ্যোগ ঘিরে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও।
যদিও প্রকাশ্যে এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ BJP কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে BJP নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানি না। তাই কোনও মন্তব্য করব না।’ অন্যদিকে, রাজ্য BJP -র প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে ‘BJP বাঁচাও’-প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।