Imran Khan: 'তাহলে দেশকে বাঁচানো যাবে না...' পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে একাত্তরের ঢাকা সংকটের তুলনা ইমরান খানের
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আপাতত পাকিস্তানের আদিয়াল জেলের কারাগারে বন্দি। সেই পরিস্থিতিতেও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের চিন্তা ব্যক্ত করেছেন ইমরান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান ‘ঢাকা ট্যাজেডি’র দিকে নিয়ে যাচ্ছে।দেশের বর্তমান অবস্থা এবং ১৯৭১ সালের অবস্থার তুলনা করে রীতিমতো সতর্ক করেছেন বর্তমান শাসকদের। আগাম সতর্ক করে তিনি বলেছেন সামনের দিনে পাকিস্তান গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এর প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারম্যান ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল থেকে একটি বার্তার মাধ্যমে বর্তমন সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে দেশ এবং প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া ঠিকে থাকতে পারে না। ঈদ উপলক্ষ্যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের আইনি দল আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে। এরপর ইমরান খানের তথ্য সচিব রউফ হাসান সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরনের বার্তা প্রকাশ করেন।
১৯৭০-৭১ সালের কথা মনে করিয়ে ইমরান বলেন, ১৯৭০ সালে সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান একটি ঝুলন্ত সংসদ চেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেই সেনাবাহিনী জালিয়তি করে। ফলে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আওয়ামী লীগ ৮০ টি আসন ছিনিয়ে নেয় কারণ ইয়াহিয়া খান নিজেই রাষ্ট্রপতি হতে চেয়েছিলেন। ইমরান আরও বলেন যে, আমি হামুদুর রহমান কমিশনেররিপোর্ট মনে করিয়ে দিতে চাইয যে অতীতে যে ভুলগুলো করেছিলাম সেই ভুলেরই পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছি। ১৯৭০ সালে লন্ডন পরিকল্পনা করা হয়েছিল আজ আবার লন্ডন পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
‘ঢাকা সংকট’ কী?ইমরান খান যে ঢাকা সংকটকে পাকিস্তানের বর্তমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তুলনা করেছেন তা হল ঠিক যেমন ইমরান খান পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সলের নির্বাচনে জনমত চুরির অভিযোগ করছেন সেরকমই একটি নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭০ সালে। তখনও পাকিস্তান বিভক্ত হয়নি, বাংলাদেশও গঠিত হয়নি। কিন্তু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশ এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। তিনি শুরু থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত শাসনের জন্য লড়াই করে আসছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মুজিবর রহমানের দল আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ১৬৭ থেকে ১৬৯ টি আসন পায়। সরকার গঠনের জন্য ৩১৩ আসনের পাকিস্তানি সংসদে মুজিবরের যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু সেটা মেনে নিতে পারে নি পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা। সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবরকে সরকার গঠন করতে দেয়নি। মুজিবের এই বিশ্বাসঘাতকতার ফলে পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হয় বিদ্রোহ। রাস্তায় নেমে আসেন মানুষ। বিদ্রোহ দমনের জন্য ডাকা হয় সেনাবাহিনী। এমন অবস্থায় ভারত তার সেনাবাহিনী পাঠিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। এইভাবে বিশ্বের মানচিত্রে একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় হয়।