'মকসদ' হাসিলে হিন্দু নামে আধার কার্ড, মাথাভরা টাকের হীনমন্যতায় ত্বহার সর্বক্ষণের সাথী টুপি ও পুরচুল
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
NIA-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আবদুল মাথিন ত্বহা। এই গোটা বিস্ফোরণের ছক তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, আইনের চোখ এড়িয়ে কোথায় পালানো হবে, কোথায় গা ঢাকা দেওয়া হবে, সবটাই ছিল তার প্ল্যানিং। অল্প বয়সে ভয়ডরহীন এই ত্বহা কেবলমাত্র একটা বিষয় নিয়েই হীনমন্যতায় ভোগে।মাথাভরা টাক নিয়ে হীনমন্যতামাথায় চুল কম বছর ত্রিশের আবদুল মাথিন ত্বহার। কর্নাটকের শিবামগ্গা জেলার তীর্থাহল্লি এলাকার বাসিন্দা সে। NIA সূত্রে খবর, ছেলেটি IT ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল। তবে সন্ত্রাসবাদের পথে পা বাড়িয়ে পেশাগত জীবন ছেড়ে দেয় ত্বহা। জানা যায়, বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ডে জনপ্রিয় রামেশ্বরম ক্যাফেতে গত ১ মার্চ যে বিস্ফোরণ ঘটে, তার মাস্টারমাইন্ড এই ত্বহাই। তার নির্দেশেই NIA-এর হাতে ধৃত অপরজন অর্থাৎ মুসাভির হুসেন শাজিব রামেশ্বরম ক্যাফেতে গিয়ে IED বিস্ফোরক রেখে এসেছিল।
হিন্দু নাম ব্যবহার করে গা ঢাকাঘটনার পর থেকে এই আবদুল মাথিন ত্বহা গা ঢাকা দিয়ে ছিল। সঙ্গে ছিল অন্যতম চক্রী শাজিবও। নানা রাজ্যে হোটেলে, পিজিতে, হস্টেলে লুকিয়ে ছিল তারা। বেশিরভাগ সময়ই তারা হিন্দু পরিচয়ের ছদ্মবেশে হোটেল ভাড়া করেছিল। ত্বহা এই জন্য ছদ্মনামে একাধিক ভুয়ো আধার কার্ড এবং অন্য পরিচয়পত্রও বানিয়েছিল। কখনও সে নিজেকে সুমিত আবার কখনও ভিগনেশ বলে পরিচয় দিত। NIA সূত্রে খবর, এইভাবেই ভুয়ো পরিচয় দেখিয়ে কলকাতা এবং নিউ দিঘার হোটেলে ঠাঁই নেয় ত্বহা ও শাজিব।
সর্বক্ষণের সঙ্গী টুপিঅধিকাংশ সময়ই মাথায় টুপি পড়ত আবদুল মাথিন ত্বহা। মাথায় কম চুল থাকায় হীনমন্যতায় ভুগত সে। আবার নকল দাড়ি-গোঁফ, পরচুলও ব্যবহার করত। তার নানা সময়ে নানা বেশে তোলা ছবি প্রকাশ করে NIA তল্লাশি অভিযান চালায়। ত্বহার সন্ধানের জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল NIA। ফর্সা চেহারার, ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই আবদুল মাথিন ত্বহা অধিকাংশ সময়ই জিন্স, হুডি পরত। মাস্ক পরেও প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা যায় তাকে।