• Rameswaram Cafe News: বেঙ্গালুরু থেকে দিঘা! বিস্ফোরণের পর কোন পথে পশ্চিমবঙ্গে আসে ২ জঙ্গি?
    এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্য়াফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে NIA। বঙ্গে কাঁথি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই জনকে। বেশ কয়েকদিন ধরে দু’জন বঙ্গে আত্মগোপন করেছিল বলে এনআইএ সূ্ত্রে খবর। ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। গোয়েন্দাদের একাংশের অনুমান ধৃত দু'জন IS মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণের ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই ধৃত দুই জঙ্গি কলকাতায় চলে আসে বলে জানা যায়।তবে কলকাতায় পৌঁছনোর আগে একাধিক জায়গায় নাম ভাঁড়িয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর তদন্তকারীদের সন্দেহ এড়াতে যাওয়া-আসা সবই পাবলিক ট্রান্সপোর্টই করেছে তারা। কলকাতায় পা রাখার আগে একাধিক রাজ্যও ঘোরে।

    বেঙ্গালুরুর IED বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মুসাভির হুসেই শাজিব এবং আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহাকে গ্রেফতার করে NIA। NIA আধিকারিকরা জানাচ্ছেন বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডা ছিল দুইজনই। শাজিব ক্যাফেতে বিস্ফোরক রেখে এসেছিল। সমগ্র প্ল্যান সাজানোর নেপথ্যে ছিল ত্বহা। তদন্তাকারী চোখকে ফাঁকি দিতে দীর্ঘদিন একাধিক রাজ্যে 'খুলে আম' ঘুরে বেরিয়েছে তারা।

    কী ভাবে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরিয়েছে দুইজন?

    বিস্ফোরণের পরপরই বেঙ্গালুরু রাজ্য পরিহনের একটি বাসে চড়ে শহরের গোরাগুন্টেপালিয়া এলাকায় পৌঁছয় শাজিব। তারপর তুমকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে আরেকটি বাসে ওঠে।এরপর শাজি রাজ্যের সীমানা ফেরিয়ে অন্ধ্র প্রদেশে পৌঁছে যায়। অবশেষে নেলোরে পৌঁছয়। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ওড়িশা হয়ে কলকাতায় পৌঁছয় সে।অন্যদিকে সহযোগী ত্বহা ভিন্ন পথে তামিলনাড়ু হয়ে কলকাতায় পৌঁছয়।বিস্ফোরণের পর শাজিব ও ত্বহার মধ্যে ফোনে ক্রমাগত যোগাযোগ ছিল। শেষপর্যন্ত উভয়ই কলকাতা দেখা করে নাম ভাঁড়িয়ে গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিল। খুব শীঘ্রই কলকাতা ছেড়ে পালানোর ছক কষেছিল তারা।চেন্নাই হয়ে কলকাতা হয়ে দিঘার হোটেলে উঠেছিল বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের ২ অভিযুক্ত। এনআইএ সূত্রে খবর এমনটাই। বিস্ফোরণের ১২ দিন পর কলকাতায় পৌঁছে লেনিন সরণির হোটেলে উঠেছিল পর্যটক পরিচয়ে। হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল তারা দার্জিলিং থেকে এসেছে এরপর চেন্নাই যাবে।তবে শেষরক্ষা হয়নি। দুষ্কৃতীদের জালে শেষপর্যন্ত ফেঁসে যায় দুই অভিযুক্ত। পালানোর 'মাস্টার প্ল্যান' শেষ পর্যন্ত বিফলেই যায়। বাংলা ছাড়ার আগে দু'জনে NIA-এর জালে ওঠে।উল্লেখ্য, রামেশ্বর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল সিলিন্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে তদন্তে দেখা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত একটি IED বিসফোরণ। তদন্ত নিজেদের হাতে নেয় NIA। গত মাসই এই বিস্ফোরণকাণ্ডের এক চক্রীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের নাম মুজাম্মিল শরীফ।
  • Link to this news (এই সময়)