নবরাত্রি চলাকালীন তেজস্বী যাদবের মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কে তোলপাড় হয়েছিল দেশের রাজনীতি। এবার সেই বিকর্তে গা ভাসালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।প্রসহ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে শুরু হয়েছে নবরাত্রি। এই সময় টানা দশদিন নিরামষ খাওয়াই নিয়ম হিন্দুদের। কিন্তু সেই সময় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ভিডিয়োটিতে দেখা গেছে প্রচার শেষে হেলিকপ্টারে এক প্রার্থীর সঙ্গে মাছ দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারছেন। খাওয়ার সময় মাছ এবং মাছের কাঁটা তুলে দেখাতেও দেখা যায় তেজস্বীকে। বলা বাহুল্য ভিডিয়োটি প্রকাশ হতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি। নবরাত্রির মধ্যে মাছ খাওয়া নিয়ে তেজস্বীর পাশাপাশি তাঁর বাবা ললু প্রসাদ যাদবকেও তুলোধনা করতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও পরে আরজেডি নেতা জানিয়েছিলেন যে, মাছ খাওয়ার যে ভিডিয়োটি তিনি পোস্ট করেছিলেন তা আসলে নবরাত্রি শুরু হওয়ার আগের ভিডিয়ো। তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমরা ওই ভিডিয়ো আপলোড করেছিলাম বিজেপির আইকিউ টেস্ট পরক্ষা করতে।’
শুক্রবার জম্মু কাশ্মীরের উধমপুরের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার টেনে আনলেন তেজস্বী প্রসঙ্গ। এদিন জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের অন্য সদস্যদের কারোরই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় আবেগ নিয়ে কিছু যায় আসে না। শ্রাবণ মসে ওঁরা এক দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে পাঁঠার মাংস রান্না করে খেয়েছিলেন। কেবল খাননি , সেটা ভিডিয়ো করে পোস্টও করেছিলেন দেশের মনুষকে ব্যাঙ্গ করার জন্য। আইন কাউকে কিছু করা থেকে আটকায় না। মোদীও না। কিন্তু ওদের উদ্দশ্যটাই আলাদা। যখন মুঘলরা এদেশে আক্রমণ করেছিল, কেবল রাজাদের পরাস্ত করেই তারা সন্তুষ্ট হয়নি। যতক্ষণ না মন্দির ধ্বংস করেছে...একইভাবে শ্রাবণ মাসে ওই ধরণের ভিডিয়ো পোস্ট করে বিরোধীরা মুঘলদের মানসিকতাই প্রকাশ করছে।’
এর পাশাপাশি তেজস্বী যাদবকে সরাসরি আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘আপনি কে মানুষের আবেগকে আহত করার? আমি জানি এরপর আমাকেও আক্রমণ করা হবে। কিন্তু একট গণতন্ত্রে এটা আমার দায়িত্ব কোনটা ঠিক তা মানুষকে বলা। আমি আমার কর্তব্য করছি।’
শুক্রবার নির্বাচনী সমবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি ভাইরাল ভিডিয়োর কথা উল্লেখ করেই তিনি প্রসঙ্গটির উত্থাপন করেন। যে ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল দুই নেতাকে একসঙ্গে চম্পারণ মাটন তৈরি করতে।