Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কলকাতায় গা ঢাকা, ২ কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য?
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
গত পয়লা মার্চ বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ডে ITPL রোড লাগোয়া রামেশ্বরম ক্যাফেতে IED বিস্ফোরণের ঘটনায় হুলস্থূল পড়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পরে অর্থাৎ ৩ মার্চ বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় NIA। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল দুই পাণ্ডা মুসাভির হুসেই শাজিব এবং আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল দুই জঙ্গি। তাদের সন্ধান পেতে দুই জঙ্গির নামে ১০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিল NIA। জনসমক্ষেই অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছিল দুই জঙ্গি। তাদের দেখে বোঝারই উপায় ছিল না বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই পাণ্ডা তারা। হাঁটাচলা, ভাবভঙ্গিমা দেখেও বোঝার উপায় ছিল না কিচ্ছুটি। বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। ২ কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য? সেই প্রশ্ন উঠছে।রামেশ্বরম বিস্ফোরণকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় চার জেলবন্দি জঙ্গিতে হেফাজতে নেয় NIA। এই বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট বাল্লারি (কর্নাটক) মডিউলের যোগ থাকতে পারে সন্দেহ ছিল NIA-এর। ১ মার্চ বিস্ফোরণের দিন কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। বিস্ফোরণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিনাজ ওরফে সুলাইমান, সৈয়দ সমীর, আনাস ইকবাল শেখ এবং শান রেহামানকে আটক করে NIA। NIA-এর বিশেষ আদালত ওই চারজনকে তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে।
পাঁচ রাজ্যের ১৯টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে NIA গত বছর ডিসেম্বর মাসে ওই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। জানা যায়, মিনাজ বাল্লারি মডিউলের অন্যতম নেতা। সে ও সৈয়দ সমীর ওই কর্নাটকেরই বাসিন্দা। অন্যদিকে আনাস ইকবাল শেখ এবং শান রেহামান মুম্বই ও দিল্লির বাসিন্দা। নিজেদের রাজ্যে জেলবন্দি প্রত্যেকে। গত বছর জঙ্গি সংগঠন IS-এর আট জঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। NIA আধিকারিকরা অভিযানে বিস্ফোরক কাঁচামাল, অপরাধমূলক নথি এবং হিসাববিহীন নগদও বাজেয়াপ্ত করেছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জঙ্গি সংগঠন বাল্লারি মডিউল প্রধান মিনাজ দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। কর্নাটক থেকে মুম্বই, ঝাড়খণ্ড, পুণে, দিল্লিতেও শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনের মডিউল। আগে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর সঙ্গে জড়িত ছিল। একসময় PFI-এর বাল্লাসির সেক্রেটারি ছিল মিনাজ। অল্প বয়সীদের টার্গেট করে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে তাদেরকে জড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্রেনওয়াশের মূল পাণ্ডা ছিল সে। IS জঙ্গি সংগঠনের থেকে গভীর ভাবে অনুপ্রাণিত ছিল সে। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে অল্প বয়সী যুবকদের মাথা মুড়িয়ে সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার নেপথ্য়েই ছিল সে।
মিনাজ কে?
মিনাজ ওরফে সুলাইমানের বয়স ২৬ বছর। এক সময় বাল্লারিতে বাবা-মাকে কাপড়ের দোকান সাহায্য করত। কাজের সূত্রে গোয়ায় থাকতেন মিনাজের বড় ভাই। কবে সেখানে এক দুর্ঘটনার পর বাড়ি ফিরে আসেন। পরে মিনাজ ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাবা-মাকে পারিবারিক দোকান চালাতে সাহায্যও করেছে। মিনাজের বোন বর্তমানে তুমাকুরুত MBBS করছেন। বেঙ্গালুরু রামেশ্বর বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল দুই পাণ্ডা মুসাভির হুসেই শাজিব এবং আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা 'ইসলামিক স্টেট' জঙ্গিগোষ্ঠীর স্থানীয় মডিউলের সদস্য বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে NIA বা কোনও সরকারি এজেন্সির তরফে কিছু বলা হয়নি।