কোথাও রাজনৈতিকভাবে চূড়ান্ত আক্রমণ, কোথাও আবার কুকথার ফুলঝুরি। রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের আবহে ভোট চিত্র অনেকটাই এরকম। এর মধ্যেও একাধিক জায়গায় দলগত শত্রুতাকে ছাপিয়ে গিয়ে উঠে আসছে সৌজন্যতার নজির। সেরকমই ছবি ধরা পড়ল মালদা উত্তর কেন্দ্রে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পুর প্রধানকে নতমস্তকে প্রণাম বিজেপি প্রার্থীর।উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু মনোনয়নের আগে মাথানত করে প্রণাম করলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। পাল্টা মাথায় হাত রেখে আশীর্বাও করলেন তৃণমুলের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যন কৃষ্ণুন্দের।খগেন মুর্মুর মনোনয়নের আগে এমনি চিত্র ধরা পড়ল। যাতে আপ্লুত কৃষ্ণেন্দু-খগেন উভয়ই।
শুক্রবার উত্তর মালদা কেন্দ্রের জেলা কার্যালয় থেকে ধামসা মাদল-ঢাক সহ আদিবাসী সম্প্রদায় সহ অন্যন্য মানুষদের নিয়ে মিছিল করে ইংরেজবাজারের জেলা প্রশাসনিক ভবনে আসেন।মনোনয়ন জমা দেওয়ার পথে ইংরেজবাজার পুরসভার সামনে তৃণমূল কংগ্রেস দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের সহ সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সেখানেই তাঁর সঙ্গে করমর্দন করে প্রণাম করেন মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু।
আজ মনোননয়নপত্র জমা দিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে প্রায় সাত কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে এসে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। এই মিছিলে আদিবাসীদের ধামসা মাদল নিয়ে নৃত্য যেমন ছিল তেমনি ঢাক-তাসা সহ নানান বাদ্যযন্ত্র ছিল। মিছিলে প্রায় তিন হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক পা মেলালেন বলে দাবি বিজেপির।
মালদায় কি গনি খান ম্যাজিক আজও অব্যাহত?
বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু জানান, আজকের নমিনেশনে আমাদের কার্যকর্তা সহ সমর্থকও জেলা শাসক অফিস পর্যন্ত এসেছে।। যাঁদের মত একটা উন্মাদনা ছিল। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ উৎসাহী হয়ে রয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী এত কাজ করছে মানুষও তার কাজকে পছন্দ করছে। একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি পারে এই সরকারকে পশ্চিমবাংলা থেকে উৎখাত করতে। সমস্ত লুট থেকে মানুষকে রক্ষা করতে।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে ইংলিশ বাজারের তৃণমূল চেয়ারম্যানের সঙ্গেও করমর্দন করেন সেই প্রসঙ্গে প্রার্থী বলেন, ‘এটাই হল সৌহার্দ্য। ভারতীয় জনতা পার্টি রাষ্ট্র বাদী দল। তাই আমরা সকলকে একই পরিবারের মানুষ মনে করি।’ অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূলে সহ-সভাপতি তথা ইংরেজবাজারের পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, আমি সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখি একটা মিছিল যাচ্ছে। মিছিল ক্রস করে বা মিছিলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। তাই আমি পুরসভার গেটে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল আমার কাছে এসে করমর্দন করেন। কেউ যদি কাছে আসে আমারও সৌজন্যতা আছে। আমি ওঁর মিছিলে হেঁটে দেখা করতে যাইনি। উনি আমার কাছে এসেছেন।