এই সময়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ, মৌখিক নির্যাতন এবং মানসিক হয়রানির অভিযোগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো উচ্চশিক্ষা দপ্তর। গত সপ্তাহেই কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার এই ঘটনার তথ্যনুসন্ধানে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক জানান, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যেখানে আমরা ধর্ষণের মতো
গুরুতর অভিযোগের মামলার বিশদ রিপোর্ট চেয়েছিলাম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ ধরনের কোনও চিঠি পাননি বলেই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে এ ধরনের কোনও চিঠিই পাইনি। পেলেও আমাদের প্রশ্ন হতো, ওই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঘটেনি। বাইরে কার বাড়ি বা ফ্ল্যাটে কী হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা কী রিপোর্ট দেব?’ যদিও রেজিস্ট্রার এদিন জানান, সংশ্লিষ্ট ছাত্রী নিজে অভিযোগ নিয়ে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে (আইসিসি) গিয়েছিলেন এবং কর্তৃপক্ষের তরফেও বিষয়টি তাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, ক্যাম্পাসের বাইরের বিষয়ে বিবেচনা করার এক্রিয়ার তাদের নেই। এমনকী অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির কাছেও মতামতের জন্য ছাত্রীর অভিযোগ পাঠানো হলে, তারাও একই কথা জানিয়ে দিয়েছে। তাই এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য পৃথক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের কাছে সংশ্লিষ্ট ছাত্রী নিজের অভিযোগে ২০২২ সালের নভেম্বরের এক ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। যেখানে তাঁকে একজন ছাত্র ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, আরেকজন সেখানে উপস্থিত থাকলেও হস্তক্ষেপ করেনি। তিনি ঘটনাটি দেখলেও সাহায্য করেননি। আরও একটি পৃথক অভিযোগপত্রে ছাত্রীটি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ওই ছাত্র তাঁকে মানসিক নির্যাতন ও যৌন হেনস্তা করেছিলেন।