যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দল প্রার্থী করেছে তাঁকে। নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা কেন্দ্র জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। কখনও স্থানীয় পুজোর অনুষ্ঠানে, কখনও সাইকেল চালিয়ে গ্রামের ভেতর ভোট চাইতে হাজির প্রার্থী। ভোট প্রচারে নানা মুডে সায়নী ঘোষ। এবার সোনারপুরে ইদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মেলায় হাজির তিনি। বন্দুক থেকে বেলুন ফাটানো থেকে ধোঁয়া ওঠা ঘুগনির স্বাদপূরণ। শুক্রবারের প্রচারে জমাটি মুডে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মেলায় ঢুকে বেলুন ফাটানোয় তিন তিনবার ট্রিগার টিপে লক্ষ্যভেদ করলেন তিনি। শুধু তাই নয় ড্রাগন ট্রেনে চেপে, ঘুগনি খেয়ে উপভোগ করলেন মেলার আনন্দ। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমকে পাশে বসিয়ে ট্রেনে চেপে চক্কর দিলেন তিনি। তার হাতে তখন ঘুগনির প্লেট।
বন্দুকে ট্রিগার চেপে তো বেলুন ফাটানো গেল। কিন্তু, নির্বাচনেও কি হবে লক্ষ্যপূরণ? ‘দাবাং’ সায়নীর সপাট জবাব, ‘ অর্জুনের মতো ঠিক জায়গায় আমার লক্ষ্য রয়েছে। সেটা আমাদের সকলের রয়েছে, বাংলার মানুষের রয়েছে। ১ তারিখ আমরা সেটা বুঝতে পারব। আমরা মানুষকে নিয়েই এগোতে চাই।’
সায়নীর বক্তব্য, সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ভাবেই আনন্দ করে বাঁচতে ভালোবাসেন তিনি। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ণী ঘোষ শুক্রবার বিকেলে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জনসভা করেন। এই জনসভায় বিজেপি এবং বামেদের তুলোধোনা করেন তিনি।
এরপরেই ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনসভা শেষ করে একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দেন তিনি। সেখানে পাঠ করেন হনুমান চল্লিশা। তারপর রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ঈদের মেলায় যোগদান করেন তিনি। বিধায়ককে পাশে নিয়ে ঘুরে দেখেন পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় ঘোরার পাশাপাশি এদিন এলাকার ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগও করতে দেখা যায় তাঁকে।
তবে, প্রচারের লক্ষ্যেই কি এই মেলায় আসা? সায়নীর দাবি, আমরাও তো সাধারণ মানুষের মতই জীবনযাপন করি। সেখানে এত কাজের ব্যস্ততার মাঝে একটু নিজের ছোটবেলাটা খুঁজে পাওয়া গেলে ক্ষতি কি! নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে টানা ৩৫ দিন প্রচার করে যাচ্ছেন তিনি। এরপর প্রচারের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানান প্রার্থী। তার মাঝেই স্থানীয় মেলায় ঘুরে আনন্দ উপভোগ করে অনেকটাই এনার্জি উপার্জন হল বলেই জানান হল।