Rameshwaram Cade Blast : চেন্নাই থেকে ট্রেন বদলে কলকাতায়, মুদিখানার সামগ্রী দিয়ে বিস্ফোরক! রামেশ্বরম কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
বাংলা থেকে NIA-এর জালে রামেশ্বরম বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই মূলচক্রী। তাদের ইতিমধ্যেই তিনদিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে এ রাজ্যের স্পেশ্যাল NIA কোর্ট। ধৃত দুই জঙ্গি শাজিব এবং ত্বহার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপর তাদের নিয়ে ট্রানজিট রিমান্ডে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে NIA টিম।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) আধিকারিকদের একটি দল এবং রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে পরপর দুই জনকে গ্রেফতার করে কাঁথি থেকে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পাশাপাশি কর্নাটক, তেলঙ্গানা এবং কেরালা পুলিশও রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের খোঁজে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের অফিসারদের সহায়তা করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৎপরতার তারিফ করেছে NIA টিম।
এদিকে, NIA তদন্তে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে রামশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ সম্পর্কে। প্রাথমিক তদন্তের পর সূত্রের খবর, শাজিব বোমা তৈরির পর তা একটি ব্যাগে ভরে। সেই ব্যাগটি বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার বিখ্যাত রামেশ্বর ক্যাফেতে রেখে আসে। হাত ধোয়ার বেসিন এবং সিটিং এরিয়ার মাঝখানের অংশে এই IED ভর্তি ব্যাগটি রাখা ছিল। শাজিব হাতে ধরে কাজ করলেও গোটা বিষয়ের প্ল্যানিং এবং প্লটিং করেছে ত্বহা।
NIA আধিকারিকরা এই দুই ধৃতের থেকে একটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ড ডিস্ক এবং একাধিক নথি উদ্ধার করেছে। এগুলি ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম খতিয়ে দেখছে। সেখান থেকে গোটা রামেশ্বরম বিস্ফোরণ কাণ্ডের নেপথ্য রহস্য় ফাঁস হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কী ভাবে এই বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল, কারা এই বিস্ফোরণের নেপথ্য রয়েছে, এই দুই ধৃত কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য, সবটাই প্রকাশ্যে আসতে পারে এই নথিগুলি থেকে।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তের পর ত্বহা এবং শাজিবের IS যোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে IS-এর সঙ্গে যুক্ত এই আবদুল মাথিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজিব। একটা সময় বিদেশেও গিয়েছিল তারা। ফের দেশে ফিরে এসে কর্নাটক থেকেই নান অপারেশনের ছক কষেছিল। ক্রিপ্টো কারেন্সি মারফত বেশ কিছু টাকা লেনদেনও করে তারা। এমনটাও তদন্তে উঠে এসেছে।
কলকাতা টু দিঘা, কোথায় গা ঢাকা বেঙ্গালুরু কাণ্ডে ২ ধৃতের?
জানা গিয়েছে, ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরও ৭ মার্চ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতেই ছিল দুই অভিযুক্ত। এরপর নানা জায়গায় গা ঢাকা দেয় শাজিব ও ত্বহা। কখনও হিন্দু পরিচয়ে ছদ্মবেশে হস্টেল, কখনও হোটেল আবার কখনও কম ভাড়ায় পিজিতে। দু'বার ট্রেন বদল করে চেন্নাই থেকে কলকাতায় এসেছিল তারা। এরপর এখানকার একাধিক হোটেলে থাকে। শেষ পর্যন্ত দিঘার হোটেল থেকে তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করে NIA এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
মেঙ্গালুরুর কুকার বিস্ফোরণের ধাঁচেই রামেশ্বরমে ব্লাস্ট করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে একইরকমের বিস্ফোরক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পেশায় IT ইঞ্জিনিয়ার ত্বহার নির্দেশ মেনে মুদিখানার সামগ্রী ব্যবহার করে বোমা তৈরি করা হয়। তারপর সেই বোমা ব্যাগে করে রেখে আসা হয় রামেশ্বরম ক্যাফেতে। রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণেও নয় ভোল্টের ব্যাটারি সহ IED বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল।