Cancer Treatment: ক্যানসারের চিকিৎসায় আশার আলো! দেশীয় কিটেই সুলভে রোগ নির্ণয়, শুরু ট্রায়াল
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
ক্যানসার চিকিৎসায় আশার আলো। এবার সার্ভিক্যাল ক্যানসার নির্ণয় ঘরে বসেই সম্ভব হবে। তাও আবার দেশীয় কিটের সাহায্যেই। এইমস সহ আরও তিনটি কেন্দ্রে দেশীয় পদ্ধতিতে এই কিটের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। AIIMS এর ডিরেক্টর ডাঃ এম শ্রীনিবাস, ক্যান্সার সেন্টারের প্রধান ডাঃ সুষমা ভাটনাগর, ডাঃ নীরজা ভাটলার তত্ত্বাবধানে টেস্ট কিটের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই কিটের সাফল্য দেশে জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয়ে সহায়ক হবে। বর্তমানে ব্যয়বহুল কিটের কারণে অনেক সময়ই পরীক্ষা করা যায় না। তাই সুলভ মূল্যে দেশীয় কিট আনার প্রস্তুতি রয়েছে।প্রতি বছর ১.২৫ লাখের বেশি মহিলা জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন
AIIMS-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে প্রতি বছর প্রায় ১,২৭,৫২৬ জন মহিলা জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ৭৯,৯০৬ জন মহিলার মৃত্যু হয়। স্তন ক্যানসারের পরে যে ক্য়ানসারে মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তা হল জরায়ু মুখের ক্যানসার। টিকার মাধ্যমে মহিলাদের 'সারভাইকাল ক্যানসার' বা জরায়ুর মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব। কিন্তু সময়মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে অনেক সময় এই রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছে না। গুরুতর ক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগ নির্ণয়ের লক্ষ্য
AIIMS-এর ক্যানসার সেন্টারের প্রধান ডাঃ সুষমা ভাটনাগর বলেছেন, 'এটি একটি কম দামের HPV টেস্ট কিট। এই ট্রায়াল মাল্টি সেন্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। AIIMS ছাড়াও, এর মধ্যে রয়েছে নয়ডার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (NICPR) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ (NIRRCH), মুম্বাইতে ICMR-এর কেন্দ্র। এটি একটি ডায়াগোনস্টিক কিট। এখন দেখতে হবে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এটি কতটা কার্যকর হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ স্ক্রিনিংয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ৯০ শতাংশ মেয়েকে টিকা দেওয়ার।
লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে রেডিয়েশন থেরাপি শুরু হয়েছে
বর্তমানে লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক মেশিন। হাসপাতালটিতে ২৫ বছর আগে নির্মিত রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগে এখন রেডিওথেরাপি সুবিধা চালু হয়েছে। ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রেডিয়েশন এবং অনকোলজি ব্লকে উচ্চ ডোজ ব্র্যাকিথেরাপি এবং সিটি সিমুলেটর ইনস্টল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রেন টিউমারের মতো ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লিনাক মেশিন কেনা হচ্ছে।
জরায়ু ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের রোগীরা উপকৃত হবেন
হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডাঃ সুভাষ গিরি বলেন, 'হাসপাতালে রেডিয়েশন অ্যান্ড অঙ্কোলজি বিভাগ ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার অভাব ছিল। রেডিয়েশন অ্যান্ড অঙ্কোলজি ব্লক তৈরি হয়েছিল প্রায় পাঁচ বছর আগে। পাঁচ তলা এই ভবনে এখন ক্যানসার চিকিৎসার সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এখন এই ব্লকে ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নত হচ্ছে। এখানে ম্যান পাওয়ারের অভাব নেই।' জরায়ু ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি শুরু করলে উপকার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। একই সঙ্গে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায়ও উপকারী হবে হাই এনার্জি লিনিয়ার এক্সিলারেটর (লিনাক) মেশিন। এখানে আধুনিক মেশিনের সাহায্যে সাধারণ দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হবে। ব্যক্তিগতভাবে এই মেশিনগুলির মাধ্যমে থেরাপি নেওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল।