• Mumbai News: ডাক্তারিতে ক্রমাগত রেজাল্ট খারাপ! চরম সিদ্ধান্ত পড়ুয়ার...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোটার ছায়া ছড়াচ্ছে? পরীক্ষায় কম নম্বর, ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ২২ বছর বয়সী মেডিক্যাল ছাত্র। শুক্রবার নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটে মুম্বইয়ের কান্দিভালি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম অজয় জাঙ্গিদ। লাতুরের বিলাসরাও দেশমুখ কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, ক্রমাগত পরীক্ষার রেজাল্ট অজয়ের খারাপ হচ্ছিল। যার ফলে তিনি চরম হতাশার মধ্যে ছিলেন। দুই মাস ধরে তিনি বাড়িতে থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন অজয়। তাঁর বাবা একজন ঠিকাদার এবং মা গৃহবধূ।

    পুলিস জানিয়েছে, অজয় শুক্রবার তাঁর মার্কশিট পায়। সেখানে ফের হতাশাজনক ফলাফলই হয়। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি এই চরম পদক্ষেপ নেন। ঘটনার সময়, বাড়িতে কেবল তাঁর মা ছিলেন। সেই সময় তিনি রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকায় কী হয়েছিল তা জানেন না। মা যখন হলে আসে, সেখানে দেখে ছেলে স্কার্ফ দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। অজয়কে দ্রুত শতাব্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিস তাঁর আত্মীয়দের কাছ থেকে বিবৃতি রেকর্ড করেছে। তারা জানিয়েছে যে, অজয় তাঁদের সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহারই করত।পুলিসের ডেপুটি কমিশনার আনন্দ ভোইতে বলেন, 'বাড়িতে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।' সূত্রের খবর, অজয় ডিপ্রেশনের জন্য মেডিডেটশন করতেন। দত ৩-৪ দিন ধরে তিনি চরম ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। এমনকি তিনি তাঁর কম নম্বর পাওয়া নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা পরিবারকেও জানিয়েছিলেন। তাঁর এক ছোট ভাইও রয়েছে, যিনি জয়পুরে পড়াশোনা করছে। ফৌজদারি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে।গতকালই এইরকম এক ঘটনা ঘটে কলকাতায়। জানা গিয়েছে, পছন্দ ছিল সাহিত্য, কিন্তু পড়তে হচ্ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং! আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ছাত্রী। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার আলিপুরে।পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন যোধপুর পার্কের উমেন পলিটেকনিক কলেজে। প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডে কলেজের হস্টেলেই থাকতেন ওই তরুণী।ঘড়িতে তখন সাড়ে ৬টা। ওই তরুণীর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় সহপাঠীদের। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘরের দরজা ভেঙে ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পাওয়া যায় সুইসাইড নোটি। তাতে লেখা, 'ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে আমার একদম ইচ্ছা নেই। আমি চাপ নিতে পারছি না। আমার যেখানে ইচ্ছা, আমি সেখানে আর এগোতে পারছি না, তাই আমি চললাম'। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)