S. Jaishankar: 'এখন ২৬/১১-এর মতো হামলা হলে কী ভাবে মোকাবিলা? জবাব জয়শংকরের
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
নাম না করে ফের পাকিস্তানকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের। সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে যে ভারত যে একচু ও জমি ছেড়ে কথার বলার মেজাজে ভারত নেই তা আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। ফের একবার সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উঠতেই বিদেশমন্ত্রী নিরাপত্তার চ্য়ালেঞ্জকে কী ভাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার পার করেছে তার খতিয়ানও তুলে ধরেন।সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদী সরকারের আমলে যে কৌশল নেওয়া হয়েছে তা ২০০৮ সালের মুম্বইয় হামলার সময় থেকে পালটে গিয়েছে অনেকটাই। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়েছেন, 'উরি হামলার পর ভারত কী ভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল সকলের নিশ্চয় মনে আছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ধরন পালটে গিয়েছে অনেকটাই।'
এস জয়শংকরের সংযোজন, 'আগে ভারত সীমান্তের উপর সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। তবে সেসব এখন অতীত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা হয়নি দেশে। বর্তমান ভারতে যে কোনও সন্ত্রাসবাদ হোক তার যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বালাকোট...উরি হামলার পালটা হামলার মতো।'
জয়শংকের সংযোজন, '২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মতো হামলা যদি বর্তমান সময়ে হত, আর আমরা যদি জবাব না দিতাম তাহলে পরবর্তী হামলার সময় কী ভাবে আমরা নিজেকে রক্ষা করতাম? সন্ত্রাসবাদীদের এটা কখনও ভাবতে দেওয়া চলবে না যে তারা সীমান্তের বাইরে রয়েছে বলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে, এমন একজন ব্যক্তিও ছিল না যে মনে করেছিল যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। তখনকার ইউপিএ সরকার শুধু দফায় দফায় আলোচনা করেছিল। অথচ কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারেনি। শুধুমাত্র এটা ভাবতে ভাবতেই সময় কাটিয়ে দেয় যে পাকিস্তান আক্রমণের খরচ পাকিস্তান আক্রমণ না করার খরচের চেয়েও বেশি।'
জয়শংকরের কথায়, 'সন্ত্রাসবাদীদের কোনও নিয়ম মেনে চলে না। সন্ত্রাসবাদীদের তাই কী ভাবে জবাব দেওয়া হবে তারও কোনও রুলস নেই। কোন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভারতকে বেগ পেতে হচ্ছে? উত্তরে জয়শংকর বলেন, 'এই তো আমাদের পাশের দেশের সঙ্গে (নাম না করে পাকিস্তানকে) সুসম্পর্ক বজায় রাখতে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্য়া হচ্ছে। কবে আমরা সৎ থাকব। কারণ আমরা সকলেই পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কতটা কঠিন।' জয়শংকরের সংযোজন, 'সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের পিছনে আমদের নিজেদের ইতিহাসকে ফিরে দেখা জরুরি। যখন আমরা জানতে পেরেছিলান সন্ত্রাসবাদ উস্কানি দেয় পাকিস্তানি সেই সময় থেকেই যদি সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্য়বস্থা নেওয়া যেত তবে সন্ত্রাসবাদীদের এত বাড়বাড়ন্তর হত না। আমাদের আগের নীতিতে অনেক সময় বাধ্যবাধ্যকতা ছিল।'
নিজের বক্তব্যে জয়শংকর বলেন, 'সন্ত্রাস মোকাবিলায় বর্তমান ভারতের জবাবি ধরণ বদলে গিয়েছে আগের থেকে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ঘিরেই পার্থক্যটা থেকে যায়। আগে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন না। মোদীর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ১০ বছরে সন্ত্রাস মোকাবিলার ধরণে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। আমাদের পক্ষেও সহজ হচ্ছে বক্তব্য রাখা। এমনকী যদি আমাদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, বিনা সন্দেহেই তা আমরা নিতে পারি, পদক্ষেপ নিতে হাত-পা বাঁধা নেই। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস থাকে ১০০ শতাংশ সমর্থন মিলবে, এবং তাই আমরা কাজ করতে দ্বিধাবোধ করি না।'