• চাঁদনি চকের মোবাইল সারানোর দোকানে যায় বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত জঙ্গি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
    এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই চক্রী মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আবদুল মাথিন তহ্বার গতিবিধি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে NIA। নিউ দিঘার একটি হোটেল থেকে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। কলকাতার একটি হোটেলে ছিল তারা আগেই উঠে এসেছিল সেই তথ্য। এবার জানা গেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেডের চাঁদনি চকের একটি মোবাইল দোকানে গিয়েছিল তাদের একজন। একটি দোকানে ফোন সারাতে যায় তারা। কিন্তু, তাতে কোনও সিম কার্ড ছিল না। ফোন ঠিক করার সময় দোকানদার ওই ফোনে নিজেদের সিম কার্ড ব্যবহার করে বলে জানা গিয়েছে।তবে সেই ফোন থেকে কাওকে ফোন করা হয়েছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ক্যাফে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এই দুই জনের খোঁজ শুরু করে NIA। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। অবশেষে শুক্রবার নিউ দিঘার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। এরপরেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    চাঁদনি চকের দোকানে কী করছিল জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি? এই প্রসঙ্গে চাঁদনি চকের ওই ফোন দোকানের মালিক এক বাংলা বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মোবাইলে সিম ছিল না। ২ জন নয়, দোকানে এসেছিল ১ জন। মোবাইলটি ঠিক করার জন্য এক দিনের সময় চাওয়া হয়। কিন্তু, তা না হওয়ায় ফেরত দিয়ে দিই।’

    মোবাইলে সিম কার্ড ছিল না বলেই জানায় ওই দোকানে কর্মরত। পাশাপাশি চাঁদনি চকের দোকানটিকে লাগানো রয়েছে CCTV ক্যামেরাও। দোকানের মালিক বলেন, ‘২৫ দিনের ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে। তারপর তা অটো ডিলিট হয়ে যায়।’ উল্লেখ্য, এই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির কাছে একাধিক জাল নথি ছিল। এর মধ্যে ভুয়ো আধার কার্ড ছিল বলেও NIA সূত্রে খবর। তাদের সঙ্গে ছিল সামান্য মালপত্র। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য উঠে আসছে সেই মোতাবেক তারা নগদেই তারা বিল মেটাত।

    উল্লেখ্য, এই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করার জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এরপর জানা যায় তাদের অবস্থান নিউ দিঘাতে। রাজ্য পুলিশ এবং NIA যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। বিস্ফোরণের পর কোন কোন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল তারা? যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)