এই সময়, নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে থাকলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিই লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান৷ তাঁদের আসা-যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর্ব এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের৷সূত্রের দাবি, সম্প্রতি সরকারের একেবারে শীর্ষ স্তরের একটি নির্দেশে সেই আধিকারিকরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, যখন তাঁরা জানতে পারেন, লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সাতজন তরুণ-তরুণীর সঙ্গে দেখা করবেন৷ কিন্তু এই সাক্ষাৎকার হবে অত্যন্ত গোপনীয়৷ প্রধানমন্ত্রীর আবাসের যে ঘরে মোদী এই সাতজনের সঙ্গে দেখা করবেন, সেই ঘরটিকে নিয়ন আলোয় সাজানোরও নির্দেশ যায়।
অবশেষে নির্দিষ্ট দিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন সাতজন৷ তাঁদের নাম অনিমেষ আগরওয়াল, নমন মাথুর, মিথিলেশ পাটানকর, পায়েল ধারে, তীর্থ মেহতা, গণেশ গঙ্গাধর এবং অংশু বিস্ত৷ সূত্রের খবর, ওই সাতজন তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে হাতেকলমে ‘গেমিং’ শিখেছেন প্রধানমন্ত্রী! গেমিংয়ের ‘অ-আ-ক-খ’ শেখার পরেই প্রধানমন্ত্রী নিজে গেম খেলতেও শুরু করে দেন৷
এই দৃশ্য দেখে অবাক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সূত্রের দাবি, ঘণ্টা খানেক চলে এই গেমিং পর্ব এবং আলাপচারিতা৷ আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সূত্রে এই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হতে পারে। সেখানে ওই সাত জন গেমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপচারিতার কয়েকটি মুহূর্ত তুলে ধরা হতে পারে৷
প্রধানমন্ত্রীর এই গেমিংয়ের টিপস নেওয়ার মধ্যে ভোট কৌশলও আছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অভিমত৷ এবার দেশে নতুন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লক্ষ৷ প্রথমবার ভোট দিতে উদ্যত এই নবীন ভোটারদের মন পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে বিজেপির শীর্ষ স্তর৷ এই লক্ষ্যেই নবীন প্রজন্মের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় গেমিং নিয়ে উত্সাহী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, দেখা করেছেন দেশের খ্যাতনামা তরুণ গেমারদের সঙ্গে, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের৷
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎপর্ব কেমন কেটেছে?
জবাবে অনিমেষ আগরওয়াল (ছদ্ম নাম ‘ঠগ’) বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে গেমিং শেখানোর সময়ে উনি এত সহজ থাকতে পারতেন না, যতটা সহজ থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ উনি খুব দ্রুত শিখেছেন৷’ গেমিং এক্সপার্টদের প্রতিনিধিদলের একমাত্র মহিলা সদস্য পায়েল ধারের ব্যাখ্যা, ‘কখনও মনেই হচ্ছিল না, যে আমাদের সঙ্গে ওঁর বয়সের ফারাক প্রায় ৫০ বছর!
বুঝতে পারলাম, কেন আমাদের দেশে সব থেকে প্রভাবশালী বক্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷’