Rameshwaram Cafe Blast Case : বাংলা থেকে ধৃত জঙ্গিদের ISIS যোগ! ত্বহা ও শাজিবের গুরু 'কর্নেল' কে?
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
বাংলার থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শনিবারই তাদের কর্নাটক আদালতে তোলা হয়। ১০ দিনের NIA হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আবদুল মাথিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজিবকে। এখানেই শেষ নয়, প্রাথমিক তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে NIA-এর হাতে। দুই ধৃতের সঙ্গেই ISIS যোগ থাকার অনুমান ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দু'জনকে মান্ডিওয়ালা ডিটেনশন সেলে রাখা হয়েছে। এই ত্বহা এবং শাজিব সম্পর্কে একাধিক বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, কোনও না কোনওভাবে ISIS-এর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে তাদের।
২০২২ সালে মেঙ্গালুরু প্রেশার কুকার বোমা বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল ISIS। এ ছাড়াও ওই বছরই শিবামগ্গা ট্রায়াল এবং ২০২০ সালে আল হিন্দ মডিউল কেসের ক্ষেত্রেও জড়িত ছিল ISIS। তহ্বা এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।কর্নেল বলে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ত্বহার। দক্ষিণ এবং মধ্য ভারতে সে দুষ্কৃতী মহলে বেশ জনপ্রিয়। এই কর্নেলের পরিচয় জানতে ত্বহা এবং শাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে NIA। কী ভাবে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের প্ল্যান ছকা হয়েছিল, দেশের আর কোনও অংশে এমন বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল কি না, তাও জেরায় জানার চেষ্টা করা হবে বলে খবর।তামিলনাড়ু থেকে নিজে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল ত্বহা। সঙ্গী শাজিবের জন্য বেঙ্গালুরু থেকে একটি এসকেপ রুট তৈরি করেছিল সে। তাহলে চেন্নাই থেকে কেন ট্রেন বদল করে কলকাতায় চলে এল তারা?এটিও প্রশ্ন করা হবে ধৃতদের।জানা যাচ্ছে, কয়েক সপ্তাহ আগেই রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত মুজাম্মিল শরিফকেও গ্রেফতার করেছিল NIA। তাকেই IED তৈরির জন্য বিভিন্ন দোকান থেকে সামগ্রী কিনতে নির্দেশ দিয়েছিল ত্বহা।১ মার্চ বিস্ফোরণের আগের সপ্তাহেই রামেশ্বরমের ক্যাফেতে পৌঁছয় ত্বহা। গোটা রেস্তরাঁ রেকি করে আসে সে। ব্লাইন্ড স্পটগুলি চিহ্নিত করে তারপর সাজায় গোটা বিস্ফোরণ পরিকল্পনা। এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট সাজিয়ে দে শাজিবের জন্য। হোটেল থেকে কোন পথে বেরিয়ে শহরের কোন রাস্তা দিয়ে হোয়াইটফিল্ড এলাকার জনপ্রিয় ক্যাফেতে শাজিব পৌঁছবে তা ছকে দেয় ত্বহাই।কলকাতার একটি গেস্ট হাউসের সিসিটিভি ফুটেজ শনিবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানেই রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। ভুয়ো নথি দেখিয়ে, হিন্দু পরিচয়ে তারা সেখানে ছিল বলে অনুমান। এ ছাড়াও পুলিশের সন্দেহ এড়াতে অনলাইন লেনদেনের বদলে সমস্ত কেনাকাটার ক্ষেত্রে নগদ টাকা ব্যবহার করেছিল ত্বহা ও শাজিব।কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, 'বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক থাকতে পারে দুই ধৃতের। সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে গিয়েছিল হয়তো। কাঁটাতারের ওপার থেকে কেউ তাদের সাহায্য করতে পারে। এই সমস্ত বিষয়গুলিই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া NIA এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি এখনই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।