রাজনীতি থেকে কিছু দিনের জন্য বিরতি নেওয়া উচিত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর, এমনটাই মত ভোট কুশলী তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোরের। এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে জোর দিয়েছে। আর এই আবহে রাহুল গান্ধীর সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে করেছেন প্রশান্ত কিশোর। বলেন, 'আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কাঙ্খিত ফল না পায় তবে সেক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর কিছু দিনের জন্য বিরতি নেওয়া উচিত।'কী বলেছেন প্রশান্ত কিশোর?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'রাহুল গান্ধী মনে করেন সবকিছু জানেন তিনি। কেউ যদি ধরেই নেন তাঁর কোনওরকম সাহায্যের দরকার নেই তবে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে পারবেন না। গত ১০ বছর ধরে একই কাজ করে চলেছে রাহুল গান্ধী। এখনও সফল হতে পারেননি। এই অবস্থায় যেন তিনি অন্য কোনও কাউকে কাজ করার সুযোগ করে দেন।'
প্রশান্ত কিশোরের সংযোজন, 'কেউ যখন গত ১০ বছর ধরে একই কাজ করেন এবং সেই কাজে সাফল্য পান না তবে তাঁর বিরতি নেওয়া উচিত। রাহুল গান্ধীর উচিত পাঁচ বছরের জন্য় অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া। রাহুল গান্ধীর মাও সেই কাজ করেছেন।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'নেতা তিনিই যিনি নিজের শক্তি সম্পর্কে অবগত। সব থেকে বড় কথা তিনি নিজের খামতি সম্পর্কেও অবগত। নিজের খামতিগুলো মেরামতি তখন তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এমন কোনও মানুষের খোঁজ করেন যাঁরা তাঁর সেই খামতিগুলো ঢেকে দিতে পারবেন। রাহুল গান্ধী মনে করেন তিনি সব জানেন। রাহুল গান্ধী কাঙ্খিত সাফল্য না পেলে কয়েক বছরের জন্য তাঁর বিরতি নেওয়া উচিত বা অন্য় কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু নিজে কোন দায়িত্ব পালন না সত্ত্বেও অন্যকে দায়িত্ব না ছাড়ার বিষয়টি অগণতান্ত্রিক। আমার ওঁর প্রতি একটাই পরামর্শ থাকবে। এই নির্বাচনের পরিণাম উনি দেখুন। তারপর যদি মনে হয় আপনি কাঙ্খিত সাফল্য দলকে এনে দিতে পারেননি তবে অন্য কাউকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব দিন। তারপর আবার ফিরে আসুন। আপনার মা-ও একই কাজ করেছিলেন। বিরতি নেওয়াতে কোনও ক্ষতি নেই। প্রত্যেক ফিল্ডেই এমন হয়। এক্ষেত্রে বিরতির প্রয়োজন রয়েছে। বিরতির সময়কালে নিজের খামতিগুলো চিহ্নিত করে তা ঠিক করার সুযোগ পাওয়া যায়।' তবে প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যে প্রাধান্য দিতে নারাজ কংগ্রেস।