Arvind Kejriwal: 'স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে অনুমতি নয় কেজরিওয়ালকে, অমানবিক!' বিস্ফোরক আপ নেতা
এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ নেতা সঞ্জয় সিং শনিবার দাবি করেছেন, স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়ার হচ্ছে না কেজরিওয়ালকে। তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সঞ্জয়ের দাবি, কেজরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র ছোট্ট একটা জানালার এপার ওপার দিয়ে কয়েক মিনিটের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁদের। বিষয়টিকে 'অমানবিক' বলে সরব হয়েছেন আমনেতা।তিহার জেলে আবগারি দুর্নীতি মামলায় ছয় মাস জেলবন্দি থাকার পর চলতি মাসের শুরুতেই জামিন পেয়েছেন সঞ্জয়। দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে সঞ্জয় বলেন, 'এদিকে দাগী আসামীদের তাদের গড়ে মিটিংয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অথচ দিল্লির তিনবারের মুখ্য়মন্ত্রীকে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ছোট্ট কাচ দেওয়া জানালার মাধ্যমে দেখা করতে হচ্ছে। কেন এরকম অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে ওঁর সঙ্গে?' সঞ্জয়ের সংযোজন, 'আলাদা ভাবে স্ত্রীয়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার অনুমতিও দেওয়া হয়নি সঞ্জয়কে। শুধুমাত্র ছোট্ট একটি জানালার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁদের।'
সঞ্জয়ের অভিযোগ, আসলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অপমান ও মনোবল ভেঙে ফেলার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সঞ্জয়ের অভিযোগ, 'কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।' সঞ্জয়ের আরও দাবি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত মানের একটি বৈঠকেও শেষ মুহূর্তে বাতিল রা হয়েছে। সঞ্জয়ের কথায়, 'ভগবন্ত মান ও কেজরিওয়ালকে ব্যক্তিগত ভাবে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের ক্ষেত্রেও জানালা দিয়েই একমাত্র দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।'
আপ নেতার আরও দাবি, সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান, সুব্রত রায়কে তিহাড় জেলে ইন্টারনেট, ফোন, অফিসের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। চন্দ্র ব্রাদার্সকে কারাগারের ভিতরেই আলাদা করে বৈঠকের অনুমতি দেওয়া হয়ে ফাইলগুলি স্বাক্ষরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে কেজরিওয়ালকে কীসের এত ভয়? প্রশ্ন আপ নেতার। আবগারি মামলায় ধৃত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন আগামী সোমবার শুনতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মামলার শুনানি হতে পারে। উল্লেখ্য, ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এমন দাবি করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল।