আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে দেশের ১৮তম সাধারণ নির্বাচন। প্রথম দফার প্রচারের লাস্ট ল্যাপে ঝড় তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর সে সময় মিষ্টিতে মজলেন রাহুল গান্ধী। কখনও গুলাব জামুন আবার কখনও মাইসোর পাক খেলেন কংগ্রেস নেতা। মিষ্টির লোভে রাস্তার ডিভাইডার টপকে দোকানে পৌঁছে গেলেন ওয়েনাডের কংগ্রেস প্রার্থী।কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী বিখ্যাত মাইসোর পাক কিনছেন। ইন্ডিয়া জোটের শরিক এম কে স্ট্যালিনের জন্য তিনি এই মিষ্টি কিনলেন।
কোয়েম্বাটরে ভোটের প্রচার করতে সম্প্রতি তামিলনাড়ু পৌঁছে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। দেখা যায়, এম কে স্ট্যালিন রাহুল গান্ধীকে 'প্রিয় ভাই' বলে সম্বোধন করছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাহুল। ক্যাপশনে লিখেছেন,
'তামিলনাড়ুতে ভোটের প্রচারে একটু মিষ্টত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছি। আমার ভাই থিরু স্ট্যালিনের জন্য একটু মাইসোর পাক কিনেছি।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাহুল গান্ধী রাস্তার মাঝে ডিভাইডার টপকাচ্ছেন। তারপর রোড ক্রস করে একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকছেন। স্ট্যালিনের জন্য মাইসোর পাক কিনলেন তিনি। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা রাহুলকে প্রশ্ন করেন, 'স্যর আপনি কার জন্য এই মিষ্টি কিনছেন?' রাহুল জবাবে বলেন, 'আমার ভাইয়ের জন্য।'
মিষ্টির দোকানে UPI-এর বদলে নগদ টাকা পেমেন্ট করেন রাহুল গান্ধী। ভিডিয়ো শেষে দেখা যায় তিনি নিজে হাতে এম কে স্ট্যালিনকে ওই মিষ্টি তুলে দিচ্ছেন।
ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক রাহুল গান্ধী এবং এম কে স্ট্যালিনের মধ্যে সখ্যতা চোখে পড়ার মতো। কংগ্রেস নেতা নিজে জানান, এর আগে কখনও কোনও নেতাকে তিনি ভাই বলে সম্বোধন করেননি। আবার কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টোকে এম কে স্ট্যালিন ইলেকশন হিরো বলে উল্লেখ করেছেন।
দিনভর প্রচারের ঝক্কি সামনে দিব্যি মিষ্টিতে মজতে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে। সিংগানাল্লুরের ওই মিষ্টির দোকানের মালিক বাবু, রাহুল গান্ধীকে সামনে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, 'আমি তো ভাবতেও পারিনি উনি আমার দোকানে মিষ্টি কিনতে আসবেন। রাহুল গুলাব জামুন ভালোবাসেন। এক কিলো কিনেছেন তিনি। সাজানো মিষ্টিগুলির মধ্যেও কয়েকটি চেখে দেখেন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট আমার দোকানে ছিলেন কংগ্রেস নেতা। আমরা তাঁর কাছ থেকে মিষ্টির দাম নিতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু, আমাদের কথা উনি কিছুতেই শুনলেন না। জোর করে ক্যাশ টাকা আমার হাতে দিলেন।'