• NIA News : রাজ্যের আরও দুই পর্যটন কেন্দ্রে গিয়েছিল জঙ্গিরা? তদন্ত জারি NIA-এর
    এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  • বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দুই জঙ্গির রাজ্যে গতিবিধি কী ছিল? কোন কোন জায়গায় গিয়েছিল তাঁরা। রাজ্যে অন্য কোনও সন্দেহভাজনের সঙ্গে তারা দেখা করেছিল কিনা, রাজ্যে কোনওরকম প্ল্যান করা হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে টানা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে NIA। সৈকত শহর দিঘার পাশাপাশি দার্জিলিং এবং পুরুলিয়ায় গিয়েছিল বলেও জানতে পারা যাচ্ছে।কলকাতায় বেশ কয়েকটি হোটেলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছিল মুসাভির এবং আব্দুল। এরপর তারা হাওড়া থেকে বাস ধরে দিঘায় যায়। সেখানেই তাদের যবনিকা পতন হয়। দিঘার অনতি দূরের একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করে NIA এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী। তবে, দিঘা ছাড়াও রাজ্যের আরও দুই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রেও তারা গিয়েছিল বলে জানতে পারা যাচ্ছে।

    শনিবার সকালেই কলকাতার এসপ্ল্যানেডে-এর চাঁদনি চকে একটি মোবাইলের দোকানে এই ২ জঙ্গি র মধ্যে একজন গিয়েছিল বলে একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া যায়। ২ জন জঙ্গীর মধ্যে একজন গিয়েছিল ফোনের দোকানে দিয়েছিল, তখন সেই ফোনে সিম কার্ড ছিল না। ফোন ঠিক করার সময় যে দোকানদার ফোন সারাছিল, সে নিজের সিম ওই ফোনে ব্যবহার করেছিল। একজনকে ফোন করছিল, ফোন ঠিক হয়েছে দেখার জন্য। সেই সূত্র ধরেই NIA এর আধিকারিকেরা এই দোকানে যায়। দোকানদারের বয়ান রেকর্ড করেন।

    এছাড়া হাওড়া বাস স্ট্যান্ডের একটি ভিডিয়ো এদিন সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, গত ২৮ মার্চ সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার দিঘা বাসস্ট্যান্ডে যায় তারা। আর পাঁচ জন যাত্রীর মতোই অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। এরপর বাসের টিকিট কেটে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে যান। সেখানেই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েন দুই জঙ্গি। এখান থেকেই বাসে করে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুসাভির এবং আবদুল বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের আসার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন বাসস্ট্যান্ডের এক কর্মী। তিন দিন আগে লালবাজার থেকে পুলিশ আসে, এনআইএ অফিসারেরাও ছিলেন, এরপরই জানা যায়, জঙ্গিরা এখানে এসেছিল।

    তবে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তারা কেন ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল, সেই ব্যাপারে তদন্ত চালানো হচ্ছে। গতকালই তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছে NIA আধিকারিকরা। তবে তাদের গ্রেফতারের পরেও দিঘায় রয়েছেন বেশ কিছু NIA আধিকারিকরা। আরও বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
  • Link to this news (এই সময়)