যাত্রী স্বাচ্ছন্দে বিশেষ ব্যবস্থা, দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে 'বিশেষ কিউ আর কোড'-এর বন্দোবস্ত
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিদিন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর জন্য় একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। এবার যাত্রীদের সুবিধার জন্য দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থা করা হল। সেখানে পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট এবং মেট্রো সংলগ্ন দোকানে কেনাকাটা করা সম্ভব কিউ আর কোড-এর মাধ্যমে।বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমের দিকেই ঝুঁকছে গোটা দুনিয়া। মেট্রো পরিষেবা থেকে শুরু করে আধুনিকীকরণ, সব ক্ষেত্রেই ডিজিটালি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বহু মানুষ প্রতিদিন মেট্রোতে সওয়াল হন। আজকাল অনেকেই ডিজিটালি টাকা দিতে চান। অনেক ক্ষেত্রে খুচরো পয়সা নিয়েও সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে মেট্রো স্টেশনে পে-এন্ড-ইউজ টয়লেটের জন্য QR-কোডে পেমেন্ট সিস্টেম চালু অত্যন্ত কার্যকরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এবার থেকে পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেটের পেমেন্ট করার পাশাপাশি মেট্রো রেল স্টেশনে যাত্রীরা প্রদর্শিত QR কোডটি স্ক্যান করতে পারেন এবং তাদের পছন্দের ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে বা পদ্ধতির (UPI বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) মাধ্যমে লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারেন। এই কিউ আর কোড ভিত্তিক অর্থপ্রদান ব্যবস্থার বাস্তবায়ণ আর্থিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদী মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি কম টাকার লেনদেনের জন্য অনেক সময় খুচরো দিতে সমস্যা হয়। এই উদ্যোগের ফলে সেই সমস্যাও মিটবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন সময় দেখা যায় পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ব্যবহার করার জন্য যে নির্ধারিত মূল্য রয়েছে তার থেকে বেশি টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু, ডিজিটাল লেনদেনের ফলে সেই সমস্যাও মিটবে। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, 'মেট্রো যাত্রীরা এক্ষেত্রে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন, যা ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুই জনের জন্যই সময় বাঁচাবে।’
অর্থাৎ একদিকে যেমন যাত্রীদের কাছে এই উদ্যোগের ফলে একগুচ্ছ সুবিধা হবে তেমনই সময় বাঁচানো থেকে শুরু করে স্বচ্ছতা একাধিক ক্ষেত্রে তাঁরা লাভবান হবেন। মেট্রোর এই উদ্যোগের ফলে খুশি যাত্রীরা। রবীন নাগ নামক এক যাত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে সবথেকে বড় সুবিধা হবে খুচরো দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্রে। অনেক সময় খুচরো দিতে চান না সামনে থাকা ব্যক্তি। এই বড় সমস্যাটির সমাধান সম্ভব ডিজিটাল আদাল প্রদানের মধ্য দিয়ে। অনেক যাত্রীই এই পদক্ষেপে লাভবান হবে বলে মনে করছি।’