Iran Attacks Israel : যুদ্ধ শুরু! ইজরায়েলে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বড়সড় হামলা ইরানের, ভিডিয়ো দেখলে শিউরে উঠবেন
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
হামলার আশঙ্কাই সত্যি হল। ইজরায়েলে বড়সড় হামলা করল ইরান। মধ্যরাতে প্রায় ২০০ ড্রোন হামলা হল জেরুজালেম শহরে। শোনা গেল এয়ার সাইরেন। সঙ্গে চলে ব্যালিস্টিক মিসাইল অ্যাটাকও। যদিও এই হামলার ঘটনায় প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে।একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে জেরুজালেম শহর। ঘনঘন সাইরেনে কাঁপছে ইহুদি দেশটির একাধিক শহর। এদিকে, ইরানকে হামলার কড়া জবাব দিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পালটা প্রস্তুত ইজরায়েলের আয়রন ডোম মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। হামলার কথা স্বীকার করেছে ইজারায়েলি সেনা। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইজরায়েলি ফৌজের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি বলেন, 'ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। আমরা সমস্ত ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি।' তেল আভিভে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, 'দেশকে রক্ষা করতে আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত। প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মকভাবে তৈরি আমরা। ইরান আমাদের উপর হামলা চালাবে তা আগেই জানা ছিল। আমাদের দেশের সেনা, দেশের জনগণ মানসিকভাবে শক্ত। ইজরায়েলের ক্ষতি করতে আসবে যারা তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে।'
জাহাজ দখল ইরানের!এদিকে, ড্রোন হামলার কয়েকঘণ্টা আগে আরব আমিরশাহির উপকূলে, হরমুজ প্রণালীর কাছে পর্তুগিজের পতাকাবাহী একটি কন্টেনার শিপ দখল করে নেয় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড। ইজরায়েলের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার কারণেই জাহাজটি দখল করা হয়। যার ২৫ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ১৭ জন আবার ভারতীয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দখল করা জাহাজকে নিজেদের জলসীমার মধ্যে নিয়ে গিয়েছে ইরান। শিপের অপারেটর- ইতালীয়-সুইস গ্রুপ এমএসসি জানিয়েছে, ইরানের 'সেপাহ নেভি স্পেশ্যাল ফোর্স' জাহাজটির দখল নিয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে দড়ি বেয়ে ফোর্সের সদস্যদের জাহাজের ডেকে নামতে দেখা গিয়েছে। এমএসসির দাবি, তারা জাহাজের ২৫ জন ক্রু-র নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে রাখছে। এ ব্যাপারে ইরান প্রশাসনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও কূটনৈতিক চ্যানেলে কথা বলছে তারা।
উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘহামলার পর জরুরি বাঠকের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এদিকে, ইজরায়েলে ইরানি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি ড্রোন বা মিসাইল দেখলেই তা ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলোকে। জর্ডনের এয়ার ডিফেন্সকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। যদি কোনও ইরানি বিমানকে তাদের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়তে দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যেন সেগুলি ধ্বংস করা হয় ৷ ইয়েমেনের কাছে বেশ কয়েকটি ইরানি ড্রোন নিকেশ করেছে মার্কিন ফৌজও। ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে যে কোনও হামলা রুখে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটাই চেয়েছিল হামাস। মধ্যেপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি যাতে একসঙ্গে ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় সেই চেষ্টাই করছিল প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি।