রচনা বন্ধু, ওকে নিয়ে মিম হতে দেখে খারাপ লাগে: লকেট
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
'রচনা আমার বন্ধু। ওকে নিয়ে মিম হতে দেখে খারাপ লাগে। বিষয়টাকে হালকা ভাবে নেওয়াই ভালো। কোনও মহিলাকে নিয়ে মিম হলে আমার ভালো লাগে না।'
তিনি আজ দশ বছর ধরে BJP-র হয়ে বঙ্গ রাজনীতির ময়দান কামড়ে পড়ে রয়েছেন। হুগলির বিদায়ী সাংসদ তিনি। সেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সামনে এবার তৃণমূল হুগলিতে প্রার্থী করেছে বাংলার সিনে দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় নাম রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু, রচনার কিছু মন্তব্যে ট্রোল বাহিনী সক্রিয়। শনিবার সন্ধ্যায় লকেট চট্টোপাধ্যায় রচনার পক্ষে আওয়াজ তুললেন। তাঁর বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। এবার ভোটে ‘প্রতিপক্ষ’ রচনাকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করলেন লকেট। পাশাপাশি এই ধরনের মিম কোনওভাবেই উচিত নয় বলে মন্তব্য লকেটের।রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লকেট চট্টোপাধ্যায় সিনে দুনিয়ায় সতীর্থ ছিলেন বহুদিন। একসঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাঁরা। দশ বছর অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়েছেন লকেট। রচনা অবশ্য এখনও টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। হুগলিতে দুই দিদির লড়াই এবার জমজমাট।
সম্প্রতি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলিতে 'ধোঁয়া ' এবং হুগলির দই নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে মিম তৈরি করেছিলেন অনেকে। কখনও তাঁর শিল্প হয়েছে বোঝাতে গিয়ে 'ধোঁয়া ধোঁয়া' বলা হোক বা সিঙ্গুরের ঘাস খাওয়া গোরুর দুধে তৈরি দই ভালো বলা হোক,প্রচারে বেরিয়ে গরম ঘুগনি খেয়ে তার তারিফ - এই নিয়ে মিম হয়েছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই মিমগুলি নিয়ে তিনি খুব একটা বেশি চিন্তিত নন। তাতে বিশেষ আমল দেন না তিনি।
Locket Chatterjee on Rachna Banerjee : 'হুগলির ধোঁয়া' দেখে উচ্ছ্বাস রচনার, যা বললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
এদিকে এই প্রসঙ্গে রচনার পাশে দেখা দেল লকেটকে। তিনি বলেন, 'কোনও মহিলাকে নিয়ে মিম হলে ব্যাক্তিগত ভাবে আমার ভালো লাগে না। ও আমার বন্ধু। তাই খারাপ লাগে। তবে এই সব হালকাভাবে নেওয়াই ভালো। '
বিরোধী দলের কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব তার প্রিয়? এই প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'প্রিয় বলব না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তিনি লড়াইটা করেছিলেন। বাকি যাঁরা এসেছেন সব ওঁর নাম করে। লড়াইটা কেউ করেননি। ওঁকে আমি ফেভারিট বলব না। আমি একজন মহিলা তাই জানি লড়াইটা। তবে তিনি যা ভেবে লড়াই করেছিলেন পরে ওঁর লাইনটাই ঘুরে গিয়েছে। প্রাধান্য বদলে গেছে।মহিলাদের প্রাধান্য দিতে এসেছিলেন কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে মহিলারা।'