দীর্ঘদিন থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ রয়েছে বানিজ্য। তবে এতে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। কারণ পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা এখনও ভারত থেকে পণ্য আমদানি করে থাকেন। আর এই ভারতীয় পণ্য তৃতীয় কোনও দেশের মাধ্যমে পৌঁছয় পাকিস্তানে। ফলে ভারতীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায় অনেকখানি। যার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তান। সেদেশের এক ব্যবসায়ী তার ভারত সফরের কথা জানিয়েছেন। ভারত এবং পাকিস্তানের বাজারের মধ্যে পার্থক্য কী তা তিনি জানিয়েছেন। তার যাত্রা কেমন ছিল তাও জানিয়েছেন। সানা আমজাদ জিশান নামের ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের একজন ইউটিউবার। তিনি পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের দোকান চালান।ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০৬ সালে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। তখন খুব সহজেই ভিসা পাওয়া যেত। তখন তার কাছ থেকে কোনও কাগজপত্র চাওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমার লক্ষ্য ছিল ব্যবসা। আমাদের আত্মীয়রাও ভারতে থাকে। ভারত এবং পাকিস্তানের ব্যবসার পার্থক্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাকিস্তানেও ব্যবসা ভালো। তবে ভারতীয় ব্যবসা অনেকটাই এগিয়ে। পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্য সম্পর্কিত অনেক দোকান আছে। বারীয় মুদি দোকানে যেসব জিনিস পাওয়া যায় পাকিস্তানের ভারতীয় পণ্যের দোকানেও সেইসব জিনিস পাওয়া যায়।
এরপর ওই ব্যক্তিকে তার নিজের দোকানের একটি পণ্য দেখাতে বলা হয় যা অন্য কোনও দোকানে পাওয়া যায় না। এতে তিনি শুকনো নারকেলের একটি বল দেখান। তিনি পাকিস্তানে সেই শুকনো নারকেলটির দাম জানান ১৮০০ টাকা। এছাড়া চ্যবনপ্রাশের একটি বাক্সও দেখান, যা পাকিস্তানে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ বাক্সটিতে তার দাম লেখা ছিল ৩৭৫ টাকা। জিশান জানিয়েছেন, মুদ্রার এত বড় পার্থক্যের কারণ দুটি। েকটি মু্রার পার্থক্য এবং অন্যটি করের পার্থক্য।
তিনি তার দোকানের সিলভারে মোড়া এলাচ দেখান। তিনি বলেন, পাকিস্তানে কেউ এই জিনিসটি বিক্রি করে না। ভারত সফরের পর জিসান জানিয়েছেন ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে। তারা জানতে পারেন বিশ্বের কোন ব্র্যান্ড কোন ধরণের পণ্য বিক্রি করছে। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয়, আবার ব্যবসা শুরু করলে কতটা লাভ হবে? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, খুব উপকার হবে। ভারতের সঙ্গে সরাসরি বানিজ্য হলে পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের মূল্য অনেক সস্তা হবে। ফলে এতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা খুবই উপকৃত হবেন।