এদেশে ২৬ ঘণ্টা হবে সময়! ঘড়ির কাঁটা ১২ নয় ১৩-এ, কী ভাবে?
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
সময়ের এবার 'আরও সময়' হবে। হাতে একদম সময় নেই! একথা বলার দিন শেষ। বাড়ছে সময়। বিষয়টা পরিষ্কার হল না তো? একদিন মানে ২৪ ঘণ্টা, একথা সকলেরই জানা। দৈনন্দিন যা কাজ সারতে হয় সবই এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। একেবারে মেপে মেপে টাইম ম্যানেজমেন্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠে জীবন যুদ্ধে লড়াই তারপর ক্লান্ত হয়ে দিন শেষে বাড়ি, এসবের মাঝে কখন যেন হারিয়েই যায় পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা, নিজেকে সময় দেওয়ার কথা। ওই যে 'সময়ের সময় হয় না'। এবার হবে! বাড়তি সময় পেয়েই পরিবারকে দিতে পারবেন, সময় দিতে পারবেন নিজেকেও। কখনও কি মনে হয়েছে দিন যদি ২৬ ঘণ্টার হয় তবে বাড়তি ২ ঘণ্টায় কী কাজ করবেন? অবাক হচ্ছেন ভেবে তা আবার কখনও হবে নাকি? নেহাতই আজগুবি ভাবনা! হয়তো বা এও ভাবছেন অন্য গ্রহের কথা হচ্ছে। না, পৃথিবীর একটি দেশেই ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৬ ঘণ্টা সময় বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইউরোপের একটি দেশে ২৬ ঘণ্টা দিন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। আর সেই দেশটির নাম নরওয়ে। এবার থেকে মিলবে বাড়তি 'অবকাশ'-এর সুযোগ।নরওয়ে ২৬ ঘন্টা দিনের জন্য একটি চমকপ্রদ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এর উদ্দেশ্য হল লোকেরা যাতে তাদের পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পারে। কিংবা নতুন একটি ভাষা শিখতে সক্ষম হয়। এই দেশের আর্কটিক উত্তর অঞ্চলে ঘড়ির দাগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১২টি দাগের পরিবর্তে ১৩টি দাগ থাকবে ঘড়িতে। ভাদসো, নরওয়ের একটি শহর, ২৬-ঘন্টা দিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়। রাশিয়ান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই শহরটির জনসংখ্যা অত্যন্ত কম। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময়ই নেই তাদের। নতুন প্রজন্মের আশায় ধুঁকছে এশহর। আর তাই নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বংশবৃদ্ধিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে চাইছে নগর প্রশাসন।
ভাদসো মেয়র ওয়েঞ্চে পেডারসেন ইউরোপীয় কমিশনের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এই প্রস্তাবে অনুরোধ করা হয়েছে নরওয়ের এই অঞ্চলটিকে যাতে ২৪-এর পরিবর্তে ২৬ ঘন্টা দিনের মতো পরিকল্পনা সাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়। পেডারসেন বলেন, ২৬ ঘণ্টা সময় রয়েছে জানলে মানুষ মাছ ধরা, শিকারে যাওয়া, নতুন ভাষা শেখার বা পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য আরও বেশি সময় ব্যয় করবে। তিনি এর নাম দেন 'মোরটাইম প্রজেক্ট'। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, 'মোরটাইম প্রকল্পের মাধ্যমে, আমরা এই অনন্য জীবনযাত্রা উদযাপনের লক্ষ্য নিয়েছি।'
নতুন টাইম জোন কীভাবে কাজ করবে?তবে কী ভাবে মানুষকে নতুন টাইম প্রজেক্ট সম্বন্ধে বোঝানো হবে তা নিয়ে এখনও বিস্তারিত পরিকল্পনা হয়নি। কী ভাবে ঘড়ির দাগ ১২-এর জায়গায় ১৩ করা হবে, কীভাবেই বা মানুষকে বোঝানো হবে নতুন 'সময়' সম্পর্কে সেই সম্পর্কে পরিকল্পনা বাকি রয়েছে।